অরুণ গোয়েল। —ফাইল চিত্র।
কয়েক দিনের মধ্যে লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে যাওয়ার কথা। তার ঠিক আগেই আচমকা নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অরুণ গোয়েল। পদত্যাগপত্র ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। তা গৃহীতও হয়েছে।
গত সপ্তাহেই পশ্চিমবঙ্গে এসেছিল কমিশনের ‘ফুল বেঞ্চ’। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের সঙ্গে এসেছিলেন অরুণও। তার পরেই হঠাৎ নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
দেশে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার-সহ মোট তিন জন নির্বাচন কমিশনারের থাকার কথা। এত দিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার এবং নির্বাচন কমিশনার অরুণই দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। তৃতীয় পদটি ফাঁকাই ছিল। এ বার নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে অরুণ ইস্তফা দেওয়ায় কমিশনের ‘ফুল বেঞ্চ’ বলতে এখন শুধু রাজীবই রয়েছেন!
অরুণের হঠাৎ পদত্যাগ নিয়ে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে বিঁধতে শুরু করেছে বঙ্গের শাসকদল তৃণমূল। দলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখেল এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে লেখেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনারের পদটি এখন শূন্য। তার মানে এখন নির্বাচন কমিশন বলতে এক জন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এ বার নরেন্দ্র মোদী দু’জন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করবেন।’’
কমিশন সূত্রে খবর মিলেছিল, আগামী সপ্তাহেই ভোট ঘোষণা করে দেওয়া হতে পারে। তার আগে অরুণের পদত্যাগ! ফলে আদৌ ভোটের দিনক্ষণ এখনই ঘোষণা হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিভিন্ন মহল।
২০২২ সালে নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ করা হয়েছিল ১৯৮৫ সালের পঞ্জাব ক্যাডারের আমলা অরুণকে। নির্বাচন কমিশনার পদে তাঁর নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনার পদে এত তাড়াহুড়ো করে কেন নিয়োগ করা হচ্ছে, তা নিয়ে সেই সময় শীর্ষ আদালত কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রশ্নের মুখেও ফেলেছিল। পরে অবশ্য নির্বাচন কমিশনার পদে প্রাক্তন আমলাকেই বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।