জেট এয়ারওয়েজ়ের প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গয়াল। —ফাইল চিত্র।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর হাতে গ্রেফতার হলেন জেট এয়ারওয়েজ়ের প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গয়াল। কানাড়া ব্যাঙ্কের ৫৩৮ কোটি টাকা প্রতারণার দায়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মুম্বইয়ে জেট এয়ারওয়েজ়ের অফিসে বেশ কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর আর্থিক তছরুপ বিরোধী আইন (পিএমএলএ)-এর আওতায় তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। শনিবারই নরেশকে আদালতে পেশ করা হবে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, নরেশকে নিজেদের হেফাজতে চাইবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
গত বছরের নভেম্বরেই নরেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন কানাড়া ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। প্রতারণা এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয় নরেশ, তাঁর স্ত্রী অনিতা এবং গৌরাঙ্গ শেট্টি নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযোগে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ বলেন, জেট এয়ারওয়েজ় (ইন্ডিয়া) লিমিটেডকে (জেআইএল) ৮৪৮.৮৬ কোটি টাকার যে ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছিল তার মধ্যে ৫৩৮.৬২ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। ব্যাঙ্কের আরও অভিযোগ ছিল যে, জেআইএল নিজেদের অডিটে দেখিয়েছিল যে, তারা তাদের বিভিন্ন সংস্থাকে সীমার বাইরে গিয়ে ১৪০০ কোটিরও বেশি টাকা দিয়েছিল।
সিবিআইয়ের এফআইআরে অভিযোগ করা হয়েছে, জেট এয়ারওয়েজ় (ইন্ডিয়া) লিমিটেড (জেআইএল) এর নমুনা চুক্তিতে উল্লেখ করা রয়েছে যে জেনারেল সেলিং এজেন্টদের (জিএসএ) খরচ জিএসএ-র নিজেকেই বহন করতে হবে। দেখা গেছে জেট জিএসএ-র নামে ৪০৩ কোটি টাকার যে খরচ দেখিয়েছে তা সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এর পাশাপাশি ব্যক্তিগত খরচেও জেটের টাকা ব্যবহার করেছেন নরেশ।
এ বছর মে মাসে নরেশের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করে সিবিআই এবং আর্থিক তছরুপের মামলা করে ইডি। মে মাসেই নরেশের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই। নরেশ ছাড়াও জেটের একাধিক প্রাক্তন আধিকারিকের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। দিল্লি, মুম্বই-সহ দেশের ৭টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সিবিআইয়ের অভিযোগ ছিল, কানাড়া ব্যাঙ্কের ওই বিপুল পরিমাণ অর্থ নয়ছয় করেছেন জেট-কর্তা নরেশ। এই দুর্নীতিতে সংস্থার বেশ কয়েক জন আধিকারিকও অভিযুক্ত।