দেশের মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার রাজীব কুমার। ফাইল চিত্র।
দেশে ‘অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ’ ভোট করানোর ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা প্রসঙ্গে এল ‘অগ্নিপরীক্ষা’র কথা। কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার দাবি করলেন, স্বাধীনতার পর সত্তর বছর ধরে প্রতিটি নির্বাচনে অগ্নিপরীক্ষা দিয়ে চলেছে কমিশন। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্বাচন কমিশনের অপরিহার্যতার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এই প্রসঙ্গে বলেন, “গত সত্তর বছর ধরে ভারত যে যাবতীয় বিষয় আলোচনার মাধ্যমেই নিষ্পত্তি করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং এ কাজে সফল হয়, তার বড় কারণ মানুষ নির্বাচনের ফলাফলের উপর আস্থা রাখে। মানুষের ভরসা ধরে রাখতেই নির্বাচন কমিশনকে বার বার অগ্নিপরীক্ষা দিতে হয় বলে দাবি করেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই প্রায় ৪০০টি বিধানসভা নির্বাচন, ১৭টি লোকসভা নির্বাচন, ১৬টি রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। তবে তারপরেও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় তাঁরা যে কোনও ফাঁক রাখতে চান না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার।
উন্নত বিশ্বের বেশ কিছু দেশে নামমাত্র গণতন্ত্র থাকলেও, সেখানে নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন বলে দাবি করেন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার। ভারতে তেমন পরিস্থিতি তৈরি না হওয়ার সব কৃতিত্ব তিনি অবশ্য দিয়েছেন ভোটারদেরই। কর্নাটক নির্বাচনে প্রথম বার আশি কিংবা আশি ঊর্ধ্ব ব্যক্তিদের বাড়িতেই ভোটদানের ব্যবস্থা করতে চলেছে কমিশন। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে নির্দিষ্ট একটি ফর্ম ফিলাপ করতে হবে। নির্বাচন কমিশন এমন একটি স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, যাঁরা দেশের আইনসভাগুলির নির্বাচন প্রক্রিয়াকে পরিচালনা করে থাকে।