রাজনীতিতে আসতে চাননি কপিল, মানুষকে হাসিয়েই তাঁর আনন্দ, এটুকু সার বুঝেছিলেন।
মানুষকে হাসান তিনি। ভরপুর বিনোদন দেওয়াই তাঁর কাজ। কিন্তু সে হেন কপিল শর্মার জীবনেও এসেছে খারাপ সময়। কষ্টের মধ্যে দিয়ে গিয়েও মনোরঞ্জনের কাজ করে যেতে হয়েছে তাঁকে।
শিল্পকলায় আগ্রহী অমৃতসরের তরুণ থেকে ‘গ্রেট ইন্ডিয়ান লাফটার চ্যালেঞ্জ’-এর মুখ— দীর্ঘ পথ পেরিয়েছেন কপিল। কিন্তু নিজেকেই কি অত্যধিক চাপ দিয়ে ফেলেছিলেন? যে কারণে চরম অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। আসক্তি তৈরি হয়েছিল মদেও। একের পর এক কাজ বাতিল হয়েছে, যা নিয়ে আজ অনুতপ্ত কৌতুকশিল্পী।
দীর্ঘ মানসিক চিকিৎসার মধ্যে থাকতে হয়েছিল কপিলকে। মদে আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসার জন্যও চলেছিল চিকিৎসা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কপিল জানালেন তাঁর জীবনের নানা ওঠা-পড়ার কথা।
বললেন, “এত মদ খেতাম যে, শুটিংয়ে যেতে পারতাম না সময়ে। গেলেও কাজ করতে পারতাম না। প্রচুর কাজ চলে গিয়েছে এই করে। অজয় দেবগনের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হারিয়েছি। শেষে রাশ টেনেছিলেন শাহরুখ খান।”
কী করেছিলেন শাহরুখ? কপিল জানান, ‘বাদশা’ তাঁকে গাড়িতে তুলে এক ঘণ্টার সফরে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁকে। গোটা রাস্তা বুঝিয়েছেন, অবসাদ পুষে রাখা ঠিক নয়। যদিও কপিলের দাবি, অমৃতসরের কেউ এই ‘ডিপ্রেশন’ শব্দটি শোনেনি। ইতিমধ্যে ‘ফিরঙ্গি’ মুক্তি পেয়েছিল কপিলের। অমিতাভ বচ্চন এ ছবির ভয়েসওভার দিচ্ছিলেন। ডাবিংয়ের জন্য কপিলও তাঁর স্ত্রীকে সঙ্গে করে এসেছিলেন স্টুডিয়োতে। তখন সকাল ৮টা সবে। কিন্তু তার মধ্যেই দু’পাত্র মদ পেটে পড়ে গিয়েছিল কপিলের। সেই অবস্থায় কপিলকে চলে যেতে বলেন অমিতাভের কর্মচারীরা। কিন্তু কপিল ভিতরে যাবেন বলে নাছোড় ছিলেন। বিগ বি তাঁকে ভিতরে আসতে দেন। হকচকিয়ে গিয়েছিলেন কপিলের মূর্তি দেখে। মত্ত অবস্থায় এসেছেন বলে পরে কপিল অমিতাভের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। অমিতাভও লিখেছিলেন তাঁকে, “জীবন একটা সংঘর্ষ, জীবন আসলে চ্যালেঞ্জেরই আর এক নাম।”
কখনও রাজনীতিতে আসতে চাননি কপিল। কুর্তা পরতে পছন্দ করেন না তিনি। মানুষকে হাসিয়েই তাঁর আনন্দ, এটুকু সার বুঝেছিলেন। তবু, জীবনের খারাপ সময় নিয়ে অকপটে কথা বলেন কপিল শর্মা। জানান, মনের গভীরে তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে তিনি মানুষকে হাসিয়ে গিয়েছেন। পরে অবসাদ থেকে বেরিয়ে আসেন আজকের জনপ্রিয় কৌতুকশিল্পী।