জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল জি সি মুর্মু।—ছবি সংগৃহীত।
নির্বাচন নিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপালের মন্তব্যে অসন্তুষ্ট নির্বাচন কমিশন। সে বিষয়ে তাদের অসন্তোষ কমিশন গোপন করেনি। আজ এক বিবৃতিতে তারা স্পষ্ট করে দিয়েছে, নির্বাচনী নির্ঘণ্ট তৈরি করার এক মাত্র এক্তিয়ার নির্বাচন কমিশনের। এ বিষয়ে অন্য কারও মন্তব্য করা অনুচিত।
জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল জি সি মুর্মু একটি সর্বভারতীয় দৈনিককে বলেছিলেন, কোভিড-১৯ ছাড়া ওই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিধানসভা নির্বাচন করানোর ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা নেই। তবে ডিলিমিটেশনের পরেই নির্বাচন করানো যেতে পারে। এই মন্তব্য নিয়ে নিজেদের ক্ষোভ গোপন করেনি কমিশন। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘কমিশন পরিষ্কার জানিয়ে দিতে চায়, সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে নির্বাচনের দিনক্ষণ স্থির করার এক মাত্র দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। অতএব কমিশন বাদে অন্য কোনও কর্তৃপক্ষ যেন এমন মন্তব্য থেকে বিরত থাকেন, যা কি না কার্যত নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ করার শামিল’।
কমিশনের বিবৃতি থেকে স্পষ্ট, নির্বাচনী নির্ঘণ্ট তৈরি করা একটি জটিল প্রক্রিয়া। কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্ধারণের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয়কে মাথায় রাখতে হয়— সংশ্লিষ্ট এলাকার ভৌগোলিক অবস্থান, সেখানকার আবহাওয়া, আঞ্চলিক এবং স্থানীয় উৎসবের বিষয়গুলি। ওই বিবৃতিতে কমিশন আরও বলেছে, ‘উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, কোভিড-১৯ একটা বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। সেটিও বিবেচনায় রাখতে হবে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ডিলিমিটেশনের ফলও দেখা হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী মিলবে কি না, আধা সামরিক বাহিনীকে নিয়ে যেতে রেলের কামরা পাওয়া যাবে কিনা, সেটাও দেখতে হয় কমিশনকে।’’