Delhi Murder

গয়না বিক্রি করে টাকা পাঠান প্রাক্তন স্ত্রীকে, তার জেরেই অঞ্জনকে ‘খুন’ স্ত্রী, সৎ ছেলের!

পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, মৃতদেহের গন্ধ লুকিয়ে রাখতে বাড়িতে রং করেছিলেন পুনম ও দীপক। প্রতিবেশীদের জানিয়েছিলেন, আচমকাই বাড়ি থেকে চলে গিয়েছেন অঞ্জন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২২ ১৯:৫৮
Share:

ছেলের সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুনের অভিযোগ পুনমের বিরুদ্ধে। — ফাইল ছবি।

বর্তমান স্ত্রীর গয়না বিক্রি করে সেই টাকা পাঠিয়েছিলেন প্রাক্তন স্ত্রীকে! তাতেই চটে গিয়েছিলেন বর্তমান স্ত্রী পুনম। ছেলে দীপকের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে স্বামী অঞ্জন দাসকে খুনের ছক কষেছিলেন। তদন্তে নেমে এমনটাই জানতে পেরেছে দিল্লি পুলিশ। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দীপক পুনমের প্রথম পক্ষের ছেলে। পুলিশের অনুমান, গত জুন মাসে তাঁরা দু’জন মিলে অঞ্জনকে খুন করেন।

Advertisement

শ্রদ্ধা ওয়ালকরের খুনের সূত্র ধরে অঞ্জনের খুনের হদিস পেল দিল্লি পুলিশ। পূর্ব দিল্লির পাণ্ডব নগরে কিছু দেহাংশ উদ্ধার করে পুলিশ। সেগুলি শ্রদ্ধার মনে করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। তখনই অ়ঞ্জনের খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। অভিযুক্ত স্ত্রী এবং সৎ ছেলেকে সোমবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

তদন্তে জানা গিয়েছে, গত জুন মাসে পানীয়তে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অঞ্জনকে খাইয়েছিলেন পুনম এবং দীপক। অঞ্জন অচেতন হয়ে পড়লে তাঁর গলায় কুঠারের কোপ দিয়ে খুন করা হয়। অভিযোগ, সারা রাত ওই অবস্থায় শৌচালয়ে দেহটি ফেলে রেখেছিলেন মা ও ছেলে। যাতে শরীর থেকে সব রক্ত বেরিয়ে যায়। পরের দিন সকালে ছুরি এবং অন্য একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে অঞ্জনের দেহ ১০ টুকরো করে পলিথিনের ব্যাগে ভরে ফ্রিজে রেখে দেন পুনম ও দীপক। ধারালো অস্ত্রটির খোঁজ মিললেও ছুরিটি এখনও মেলেনি।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের পরের কয়েক দিন ওই দেহাংশগুলি পূর্ব দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেন পুনম ও দীপক। মাঝরাতে ব্যাগ হাতে প্রায় দিনই বাড়ি থেকে বার হতেন মা ও ছেলে। সিসিটিভি ক্যামেরায় সেই ছবিও ধরা পড়েছে। এখন পর্যন্ত ছ’টি টুকরো উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, মৃতদেহের গন্ধ লুকিয়ে রাখতে বাড়িতে রং করেছিলেন পুনম ও দীপক। প্রতিবেশীদের জানিয়েছিলেন, আচমকাই বাড়ি থেকে চলে গিয়েছেন অঞ্জন।

দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখার ডেপুটি কমিশনার অমিত গয়াল বলেন, ‘‘২০১৬ সালে পুনমের স্বামী কাল্লু মারা যান। ২০১৭ সালে অঞ্জনকে বিয়ে করেন তিনি। দীপকের বাবা কাল্লু। মৃত অঞ্জনের বিয়ে হয়েছিল বিহারে। সেখানে তাঁর স্ত্রী ও ৮ সন্তান রয়েছে। কোনও রোজগার ছিল না অঞ্জনের। প্রায়ই ঝামেলা করতেন।’’ অমিত জানিয়েছেন, এ সব কারণেই গলা কেটে অঞ্জনকে খুন করেছিলেন স্ত্রী এবং সৎ ছেলে। পরে দেহ টুকরো করে ফেলে দিয়েছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement