প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। ফাইল চিত্র।
প্রধান বিচারপতি হওয়ার পরে তাঁর নেতৃত্বে হওয়া কলেজিয়ামের প্রথম সিদ্ধান্ত নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। যার জেরে ধর্মঘট শুরু করেছেন গুজরাত হাই কোর্টের আইনজীবীরা। ধর্মঘটী আইনজীবীদের সঙ্গে দেখা করতে রাজি হলেও কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজুর উপস্থিতিতে ফের বিচারপতি নিয়োগের কলেজিয়াম ব্যবস্থাকে সমর্থন করলেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।
প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নেওয়ার পরে ১৬ নভেম্বর প্রথম কলেজিয়ামের বৈঠকের নেতৃত্ব দেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। সেই বৈঠকে মাদ্রাজ হাই কোর্টের কার্যনির্বাহী প্রধান বিচারপতি টি রাজাকে রাজস্থান হাই কোর্টে বদলি করার সুপারিশ করা হয়। পাশাপাশি গুজরাত হাই কোর্টের বিচারপতি নিখিল এস কারিয়েল ও তেলঙ্গানা হাই কোর্টের বিচারপতি এ অভিষেক রেড্ডিকে পটনা হাই কোর্টে বদলির সুপারিশ করে কলেজিয়াম। বিচারপতি কারিয়েলের বদলির প্রতিবাদে ধর্মঘট শুরু করেছেন গুজরাত হাই কোর্টের আইনজীবীরা। তাঁদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সোমবার প্রধান বিচারপতির বৈঠক হওয়ার কথা।
এরই মধ্যে বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেছেন, ‘‘কলেজিয়াম বিচারপতি নিয়োগের উপযুক্ত ব্যবস্থা। এই পদ্ধতিতে জাতীয় পরিস্থিতি মাথায় রেখে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’’
কলেজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই টানাপড়েন চলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার ও বিচার বিভাগের মধ্যে। কলেজিয়াম ব্যবস্থা অস্বচ্ছ বলে মন্তব্য করেছিলেন আইনমন্ত্রী। আজ তাঁর উপস্থিতিতেই ফের কলেজিয়ামের পক্ষে প্রধান বিচারপতির সওয়াল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত আইনজীবীদের।
আজ আইনজীবীদের ধর্মঘটের সমালোচনা করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘এতে বিচারপ্রার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’’ আইনমন্ত্রীও অবশ্য ধর্মঘটের সমালোচনা করেছেন। তাঁর মতে, ‘‘একটি ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু বারবার কলেজিয়াম ও সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে এমন ঘটনা ঘটলে পুরো পরিস্থিতিই বদলে যাবে।’’