মহারাষ্ট্রের একটি কোভিড টিকাকেন্দ্র। ছবি—পিটিআই।
মজুত থাকা করোনা টিকা দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। টিকাকরণে ঘাটতি তৈরি হতে পারে বলে বুধবার দুপুরে জানিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে। বুধবার রাতে সে রাজ্যের সাতারা জেলা পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী অফিসার (সিইও) বিনয় গওদা জানিয়েছেন, টিকার ডোজ শেষ হয়ে যাওয়ায় ওই জেলাতে গত ৩ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে টিকাকরণ।
জানা গিয়েছে, সাতারা জেলাতে ৪৫ বছরের বেশি বয়সি প্রায় ২ লক্ষ ৬০ হাজার লোক এখনও অবধি টিকা নিয়েছেন। এদের মধ্যে কেউ টিকার দু’টি ডোজ পেয়েছেন। কেউ আপাতত একটি ডোজই পেয়েছেন। বহু জায়গায় চেয়েও টিকা মিলছে না বলে অভিযোগও এসেছে। গত কয়েক সপ্তাহে মহারাষ্ট্রের দৈনিক সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সেই পরিস্থিতিতে টিকাকরণ বন্ধ থাকা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
বুধবার রাজেশ বলেছিলেন, ‘‘রাজ্যে যে পরিমাণ টিকা মজুত রয়েছে তা দিয়ে আর ৩ দিন চলবে। আমরা কেন্দ্রকে অনুরোধ করছি আরও বেশি টিকা পাঠানোর জন্য। রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রোজ বাড়ছে।’’ এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষবর্ধনকে বলেছেন বলেও জানিয়েছেন রাজেশ। তিনি বলেছেন, ‘‘এই মুহূর্তে (বুধবার) ১৪ লক্ষ ডোজ রয়েছে। মানে আর ৩ দিন চলবে। রোজ আমরা যদি মোটামুটি ৫ লক্ষ লোককে টিকা দিই তা হলে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৪০ লক্ষ টিকার ডোজ দরকার।’’ ডোজের অভাবে সে রাজ্যের কিছু এলাকায় টিকাকরণ বন্ধের কথাও জানিয়েছিলেন তিনি।
মহারাষ্ট্রের টিকার ঘাটতি নিয়ে রাজেশের এই অভিযোগ মানেননি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সব রাজ্যকে পর্যাপ্ত টিকার ডোজ পাঠানোর আশ্বাস দিয়ে পাল্টা আক্রমণও করেছেন তিনি। হর্ষবর্ধনের অভিযোগ, ‘‘কিছু রাজ্য করোনার ছড়িয়ে পড়া রুখতে ব্যর্থ হচ্ছে। সে দিক থেকে নজর ঘোরাতে, সাধারণের মধ্যে ভয় ছড়াতে টিকা কমের কথা বলছে।’’