—প্রতীকী ছবি।
দিল্লির কনকনে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচার জন্য ঘরে কয়লা জ্বালিয়ে হিটারের বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি করেছিলেন এক তরুণ। কিন্তু আগুন পোহাতে গিয়েই বাড়ল বিপদ। কার্বন মনোক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয় তরুণের স্ত্রী অঞ্জলি (২৩) এবং তাঁর দু’বছরের পুত্র শম্ভুর। শনিবার রাতে ঘটনাটি দক্ষিণ দিল্লির ময়দান গাড়হি এলাকায় ঘটে। তরুণের নাম দীনেশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, দিল্লির অসোলা এলাকার একটি ফার্মহাউসে বাগান পরিচর্যার কাজ করেন দীনেশ। স্ত্রী, দুই পুত্র এবং চার বছরের কন্যাকে নিয়ে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকেন তিনি। শনিবার রাতে ঠান্ডার হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য ঘরের মধ্যে কয়লা জ্বালিয়ে আগুন পোহাচ্ছিল পুরো পরিবার।
বাইরের শীতল হাওয়া যাতে ঘরের ভিতর না ঢোকে, সে কারণে ঘরের ভিতর থেকে সমস্ত দরজা-জানলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন দীনেশ। এই পরিস্থিতিতেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন সকলে। হাওয়া চলাচলের কোনও ব্যবস্থা না থাকায় এবং দীর্ঘ ক্ষণ আগুন জ্বলতে থাকার ফলে ঘরের ভিতর কার্বন মনোক্সাইড গ্যাসে ভরে যায়।
গ্যাসের বিষক্রিয়ায় শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগতে শুরু করেন পরিবারের সকলে। চিকিৎসার জন্য সকলকে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে অঞ্জলি এবং তাঁর দু’বছরের পুত্রকে মৃত বলে ঘোষণা করেন সেখানকার চিকিৎসকেরা। দীনেশ এবং তাঁর দুই সন্তান বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।