কেরল পুলিশের অপরাধদমন শাখায় জামাইয়ের বিরুদ্ধে নতুন করে নালিশ জানিয়েছেন শ্বশুর। প্রতীকী ছবি।
বিয়ের পাঁচ বছরে নানা ছুতোনাতায় ১০০ কোটিরও বেশি টাকা লুটেপুটে নিয়েছেন জামাই। হাতিয়েছেন মেয়েকে উপহার দেওয়া বিপুল সোনাদানাও। এমনকি, তাঁর বেশ কিছু সম্পত্তিও কব্জা করে নিয়েছেন। জামাইয়ের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করেছেন শ্বশুর। দুবাইয়ের ওই অনাবাসী ভারতীয়ের অভিযোগ, মাস তিনেক আগে এই অভিযোগে স্থানীয় থানায় ডায়েরি করলেও জামাইয়ের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। অবশেষে বৃহস্পতিবার কেরল পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই অনাবাসী ভারতীয়। তাঁর আরও দাবি, কোটি কোটি টাকা লুট করে গোয়ায় পালিয়েছেন জামাই।
দুবাইয়ে অনাবাসী ব্যবসায়ী আব্দুল লাহির হাসান সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে কেরলের বাসিন্দা মহম্মদ হাফিজ়ের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন। তবে বিয়ের ৫ বছরের মধ্যেই জামাই বাবাজি যে তাঁকে লুটেপুটে নেবেন, তা কল্পনাও করেননি। হাসানের দাবি, ৫ বছরে তাঁকে ঠকিয়ে প্রায় ১০৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন হাফিজ। তাঁর বহু সম্পত্তি নিজের নামে লিখিয়ে নিয়েছেন। এ ছাড়া, মেয়েকে উপহার দেওয়া হাজারখানেক সোনার গয়নাও হাত করেছেন। মাস তিনেক আগে এ সব জানতে পারেন তিনি। তার পর কেরলের অলুবা শহরের থানায় জামাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন।
হাসানের অভিযোগ, জামাইকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ তো দূরের কথা, তাঁকে যে দেড় কোটি টাকার গাড়িটি ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন, সেটিও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। বৃহস্পতিবার কেরল পুলিশের অপরাধদমন শাখায় নতুন করে নালিশ জানিয়েছেন হাসান। তাঁর দাবি, জামাই গোয়ায় চম্পট দিয়েছেন।
শ্বশুরের দাবি, বিয়ের পর থেকে তাঁকে ঠকানো শুরু করেছিলেন হাফিজ। শুরুটা হয়েছিল ৪ কোটি টাকা হাতিয়ে। হাফিজের শ্বশুর জানিয়েছিলেন, একটি তল্লাশি অভিযানের পর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তাঁকে ৪ কোটি টাকা জরিমানা দিতে বলে। সে সময় তাঁকে ওই টাকা দিয়েছিলেন তিনি। এর পর বহু বার তাঁর কাছে থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছেন হাফিজ। কখনও জমি কেনার নাম করে, কখনও বা জুতোর শোরুম গড়ার নামে টাকা চেয়েছেন। এ ভাবে ৯২ লক্ষ টাকা বাগিয়ে নিয়েছেন জামাই।
হাসানের আরও দাবি, এত কাণ্ড জামাই একা করেননি। তাঁর কুকীর্তিতে আর এক সঙ্গীও শামিল রয়েছেন। পুলিশের কাছে ওই দু’জনের বিরুদ্ধেই নালিশ করেছেন হাসান।