প্রতীকী ছবি।
কাজ দেওয়ার টোপ দিয়ে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল দিল্লির সরকারি বাসের এক কন্ডাক্টরের বিরুদ্ধে। শুধু তাই-ই নয়, মহিলার ছবি এবং ভিডিয়ো তুলে ব্ল্যাকমেলও করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত কন্ডাক্টরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, দিল্লির তিমারপুর এলাকার বাসিন্দা ওই মহিলা। ২০১০-’১৭ সাল পর্যন্ত দিল্লি পরিবহণ নিগমে (ডিটিসি) টাইপিস্টের কাজ করতেন তিনি। কিন্তু সন্তানের দেখাশোনা করার জন্য সেই কাজ থেকে অব্যাহতি নিতে হয়েছিল মহিলাকে। বছর দুয়েক আগে ডিটিসির ওই কন্ডাক্টরের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর।
পুলিশের এক আধিকারিক সাগর সিংহ কালসি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, বেশ কিছু দিন আগে মহিলার বাড়িতে প্রসাদ নিয়ে যান ওই কন্ডাক্টর। তাঁকে প্রতিশ্রুতি দেন ডিটিসিতে একটা কাজ পাইয়ে দেবেন। দু’জনের কথোপকথনের মাঝে কন্ডাক্টরকে নরম পানীয় খাওয়ার প্রস্তাব দেন মহিলা। তাতে সম্মতিও দেন কন্ডাক্টর। মহিলার দাবি, এর পরই তিনি ঘরের ভিতরে কিছু কাগজপত্র আনতে গিয়েছিলেন। তার পর সেই কাগজপত্র নিয়ে আবার বাইরে আসেন। তার পর নরম পানীয় এবং কন্ডাক্টরের আনা সেই প্রসাদ খান। সেগুলি খাওয়ার পরই তিনি অচৈতন্য হয়ে পড়েছিলেন।
মহিলার অভিযোগ, সেই সুযোগ নিয়ে কন্ডাক্টর তাঁকে ধর্ষণ করেন। শুধু তাই-ই নয়, তাঁর বেশ কিছু ছবি তোলেন এবং ভিডিয়োও করেন। তার পর সেই ছবি এবং ভিডিয়ো পাঠিয়ে তাঁকে ব্ল্যাকমেল করা শুরু করেছেন। মহিলার আরও অভিযোগ, এই বিষয়টি কন্ডাক্টরের এক বন্ধুকে জানিয়েছিলেন। সেই বন্ধুও ছবি এবং ভিডিয়ো মুছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁকে শারীরিক ভাবে নিগ্রহ করেন। এই ঘটনার পরই পুলিশের দ্বারস্থ হন মহিলা। তদন্তে নেমে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, চার-পাঁচ জন জড়িয়ে রয়েছেন এই ঘটনায়। কন্ডাক্টরকে গ্রেফতার করা হলেও বাকিরা পলাতক।