দেবেন্দ্র সিংহ
তিন জঙ্গির সঙ্গে পুলিশের ডেপুটি সুপার দেবেন্দ্র সিংহের গ্রেফতারির কথা মেনে নিল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। তারা জানিয়েছে, ধৃত অফিসারকে জঙ্গি বলেই মনে করছে তারা। এ দিন দক্ষিণ কাশ্মীরের ত্রালে বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।
গত কালই পুলিশ সূত্রে জানানো হয়, দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামের ওয়ান পো এলাকায় একটি গাড়ি থেকে তিন জঙ্গির সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের হাইজ্যাকিং-দমন শাখার প্রধান দেবেন্দ্র সিংহকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির পদকপ্রাপ্ত ওই অফিসার বর্তমানে শ্রীনগর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মোতায়েন ছিলেন। এ হেন ঘটনায় চাঞ্চল্য দেখা দেয় কাশ্মীরে। আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে আইজি বিজয় কুমার বলেন, ‘‘শোপিয়ানের পুলিশ সুপার আমাকে নির্দিষ্ট তথ্য জানিয়েছিলেন। তার ভিত্তিতে কুলগামে একটি চেক পোস্টে তল্লাশি হয়। একটি গাড়ি থেকে ওই ডেপুটি সুপারের সঙ্গে তিন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই অফিসারকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা জেরা করছে। চার জনের বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, দেবেন্দ্র তিন জঙ্গিকে নিয়ে দিল্লি যাচ্ছিলেন। প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে কেন ওই তিন জঙ্গি এক পুলিশ অফিসারের সাহায্যে দিল্লি যাচ্ছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ফাঁসির আগে তিহাড় জেল থেকে পরিবারকে লেখা চিঠিতে সংসদ হামলা মামলার আসামি আফজল গুরু দাবি করেছিল, ওই ঘটনার আর এক আসামি মহম্মদকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে ফ্ল্যাট ভাড়া করে রাখতে তাকে বাধ্য করেছিলেন দেবেন্দ্রই। আজ আইজি বলেন, ‘‘এমন কোনও ঘটনার কথা আমাদের রেকর্ডে নেই। তবে তদন্তের সময়ে এ দিকটিও খতিয়ে দেখা হবে।’’ আজ রাজনীতিক কবিতা কৃষ্ণন, প্রশান্ত ভূষণেরা প্রশ্ন তুলেছেন, এত দিন দেবেন্দ্রকে কে রক্ষা করছিলেন? প্রভাবশালী কেউ কি এই চক্রে যুক্ত?
আরও পড়ুন: জেএনইউ: স্টিং অপারেশনের জের, এবিভিপি-র দুই সদস্যকে ডেকে পাঠাল পুলিশ
আইজি জানিয়েছেন, এ দিন ত্রালের গুলশনপোরায় সংঘর্ষে হামাদ খান, আদিল বশির ও ফয়জ়ান হামিদ নামে তিন হিজবুল জঙ্গি নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে হামাদ হিজবুল মুজাহিদিনের কমান্ডার।