— প্রতীকী ছবি।
রাতের শহরে পুলিশের গাড়ি নিয়ে তাণ্ডব মত্ত পুলিশকর্মীর। বেপরোয়া গতির গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত তিন জন। ঘটনাটি ঘটেছে গুরুগ্রামে। পুলিশে দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত পদমর্যাদায় হেড কনস্টেবল। তবে পরে জামিনে তাঁকে মুক্তি দিয়ে দেওয়া হয়।
গুরুগ্রাম পুলিশের মানেসর থানার সাইবার ক্রাইমে কর্মরত রণ সিংহ। তিনিই রাতে মত্ত হয়ে পুলিশের গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন শহর ঘুরতে। সেই সময়ই মানেসর বাস স্ট্যান্ডের কাছে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা পর পর তিন জনকে ধাক্কা মারে তাঁর গাড়ি। আহতদের দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
অন্যতম অভিযোগকারী অবধেশকুমার জানিয়েছেন, তিনি আদতে উত্তরপ্রদেশের অমেঠীর বাসিন্দা। ইদানীং থাকেন মানেসররের একটি গ্রামে। ছেলেকে নিয়ে তিনি এসেছিলেন মানসরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে। ফেরার সময় বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে বাসের অপেক্ষা করছিলেন বাবা, ছেলে। তিনি বলছেন, ‘‘রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ছেলের সঙ্গে স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে বাসের অপেক্ষা করছিলাম। সেই সময় রেওয়ারির দিক থেকে একটি পুলিশের জিপ অত্যন্ত দ্রুতগতিতে আমাদের দিকে ছুটে আসে। ভয় পেয়ে আমরা পিছনে সরে যাই। কিন্তু গাড়িটি এসে সোজা আমাদের ধাক্কা মারে। আমরা ছিটকে পড়ে যাই। কাছেই আরও এক জন দাঁড়িয়েছিলেন, তিনিও আহত হন।’’ অবধেশ আরও বলেন, ‘‘আমাদের ধাক্কা দিয়ে গাড়িটি পথ বিভাজিকায় উঠে পড়ে। তার পর রাস্তার একেবারে অন্য প্রান্তে অন্য একটি গাড়িতে সজোরে ধাক্কা মেরে থেমে যায়।’’
দুর্ঘটনার আওয়াজ এবং চিৎকারের শব্দ শুনে ছুটে বেরিয়ে আসেন স্থানীয়েরা। তাঁরাই পুলিশের গাড়ি থেকে মত্ত অবস্থায় থাকা রণকে বার করেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। আহতদের দ্রুত হাসপাতালেও নিয়ে যান স্থানীয়েরাই।
অবধেশের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর রুজু করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে হেড কনস্টেবল রণকে। তবে তদন্তে সহযোগিতার শর্তে পরে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।