রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে সংবর্ধনা আদিবাসী সম্প্রদায়ের। শিলিগুড়ির সুকনা লাগোয়া চা-বাগানের রিসর্টে। ছবি: বিনোদ দাস
জিটিএ-র শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সোমবার দার্জিলিঙে উপস্থিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিনই শিলিগুড়িতে আসেন বিজেপির রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। সুকনার চা-বাগানের রিসর্টে সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমসিং তামাংয়ের সঙ্গে সে রাজ্যের ৩১ জন বিধায়ককে নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন তিনি। ছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়েল, দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। সোমবারই রাতে কলকাতায় পৌঁছন দ্রৌপদী। তাঁকে স্বাগত জানাতে বিজেপির শীর্ষনেতারা কলকাতা বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি, গজেন্দ্র সিংহ শাখাওয়াত। আজ, মঙ্গলবার দ্রৌপদীর সিমলা স্ট্রিটে স্বামী বিবেকানন্দের বাসভবনে যাওয়ার কথা। তার পর চিংড়িহাটায় তিনি বিজেপি সাংসদ-বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তার পর ফিরে যাবেন দিল্লিতে।
বিজেপি সূত্রে খবর, লোকসভা ভোটের আগে দ্রৌপদীকে প্রচারের আলোয় এনে আদিবাসী জনজাতির মন জয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলীয় স্তরে। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ ভোটে আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়া নিয়ে প্রচার করেছিল বিজেপি। তবে, ভোটে হারে তারা। চা-বাগান এলাকাতেও আশানুযায়ী ভোট পায়নি। দলের একাংশ মনে করেছিল, দ্রৌপদীকে শিলিগুড়িতে আনলে আদিবাসী এলাকায় সুফল মিলবে। অন্য দিকে, সূত্রের খবর, দ্রৌপদী দেশের কাজে ছোট-বড় সব রাজ্যের সহযোগিতা চেয়েছেন। সিকিমের সাংসদ-বিধায়কদের সাহায্য চেয়েছেন তিনি। এ দিন সুকনায় আদিবাসী নাচগানের মাধ্যমে দ্রৌপদীকে সংবর্ধনা জানানো হয়। বাগডোগরা বিমানবন্দরে শিলিগুড়ি মহকুমার দুই বিধায়ক আনন্দময় বর্মণ এবং দুর্গা মুর্মু দেখা করেন দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে। দুর্গা আদিবাসী ভাষায় দ্রৌপদীর সঙ্গে কথা বলেন।