লখনউতে অখিলেশের সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে নীতীশ এবং তেজস্বী। ছবি: পিটিআই।
তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে পরেই উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। সঙ্গী আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের পুত্র তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। আগামী লোকসভা ভোটে বিরোধী জোটের বার্তা নিয়ে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের সঙ্গে বৈঠক করলেন তাঁরা।
সোমবার রাতে ওই বৈঠকে পর নীতীশ স্পষ্ট ভাযার জানিয়ে দেন, তিনি প্রধানমন্ত্রিত্বের দাবিদার নন। জেডি(ইউ) নেতা বলেন, ‘‘আমার ক্ষমতা ও পদের কোনও লোভ নেই, দেশের মঙ্গলের জন্য কাজ করার চেষ্টা করে যাব আমি। আজ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই, আমি প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার নই।’’ তবে আগামী বছরের লোকসভা ভোটে বিরোধী জোটের ‘মুখ’ কে হবেন? নীতীশের জবাব, ‘‘যে দিন আমরা এক মঞ্চে আসব, সে দিন আমাদের নেতাও বেছে নেব।’’
প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেলে নবান্নে বৈঠক শেষে মমতা এবং নীতীশ-তেজস্বী বিরোধী ঐক্য আরও জোরদার করার ডাক দেন। সংবাদমাধ্যমের সামনে মমতা সরাসরি নীতীশকে বিরোধীদের নিয়ে বৈঠক ডাকার প্রস্তাব দেন। ১৯৭৭ সালে বিরোধী জোট গড়ার কারিগর, বিহারের নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মমতা বলেন, “নীতীশজিকে অনুরোধ করছি, আপনি পটনায় একটা বিরোধী বৈঠক ডাকুন।”
বিরোধী জোটের নেতা হিসাবে কাউকে মেনে নিতে তাঁর যে আপত্তি নেই, সে ইঙ্গিত দিয়ে মমতা বলেন, “আমাদের মধ্যে কোনও ইগো নেই। আমরা সবাই এক।” একই সঙ্গে বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “বিজেপি হিরো হয়ে গিয়েছে, জ়িরো হয়ে যাবে।” নীতীশের সঙ্গে বৈঠকের পরে অখিলেশও বিরোধী জোট মজবুত করার ডাক দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি ক্রমাগত দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ শেষ করার চেষ্টা করছে। বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি এবং দারিদ্র্য থেকে দেশকে বাঁচাতে আমরা সকলে ভারতের জনগণের পাশে আছি। আমরা চাই বিজেপি সরকার বিদায় নিক, দেশ বাঁচুক।’’