National News

অসময়ে ভাবমূর্তি ফেরাতে সফরকে কাজে লাগালেন ট্রাম্প ও মোদী

নিজেদের স্বার্থেই এই সফর দরকার ছিল ট্রাম্প ও মোদীর।

Advertisement

অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১১:৩২
Share:

দৃশ্যতই উল্লসিত প্রধানমন্ত্রী মোদী। আমদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামে, সোমবার। ছবি- এএফপি।

এক জনের ভারত সফরে লাভ হল কার্যত দু’জনের। নিজেদের কিছুটা অসময়ে।

Advertisement

ফলে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরে দু’দেশের ভাঁড়ারে কতটা কী লাভালাভ হল, সেই হিসেবনিকেশে তেমন মন না দিয়ে আমি বলব, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, দু’জনেই খুশি হয়েছেন।

কেন বলছি কথাটা?

Advertisement

বলার কারণ, ট্রাম্পের সফর শুরুর আগে ভারতে যে ঘটনাগুলি গত দু’-তিন মাসে ঘটেছে, সেগুলির কোনওটাই প্রধানমন্ত্রী মোদী ও তাঁর দল বিজেপির পক্ষে স্বস্তিদায়ক হয়নি। মহারাষ্ট্র ও দিল্লি বিধানসভার ভোটে মোদীর দল পর্যুদস্ত হয়েছে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ), জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)-সহ নানা ধরনের বিতর্কিত আইন ও সরকারি পদক্ষেপের বিরোধিতাকে কেন্দ্র করে তুমুল বিক্ষোভে আলোড়িত হয়েছে গোটা দেশ। তার উপর দেশে আর্থিক মন্দার খাঁড়াটা ঝুলছে অনেক দিন ধরেই। আর্থিক মন্দা ও আগামী দিনে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার নিয়ে বিশ্ব ব্যাঙ্ক ও আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার (আইএমএফ)-এর রিপোর্টও যায়নি মোদী ও তাঁর দলের পক্ষে।

হাতে হাত আরও জোরদার। আমদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামে, সোমবার।

এই সব ঘটনার জেরে ধীরে ধীরে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভাবমূর্তিতে চিড় ধরছিল।

কোথায় মিলে গেল ট্রাম্প, মোদীর স্বার্থ?

এই পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের কাছে একটা জোরালো বার্তা পৌঁছে দেওয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রীর। সেটা হল, ‘দেখ, দুনিয়ার সবচেয়ে ধনী আর প্রভাবশালী দেশটা আমাদের কী চোখে দেখছে? সেটা তো আমার জন্যই, নয় কি?’

ভারত সফরের আগে নিজের দেশে একই রকমের পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তাঁর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব পাশ হয়েছিল মার্কিন কংগ্রেসের হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে। সেটা সেনেটেও ‘পাশ হব হব’ করছিল। শেষমেশ তা অবশ্য এড়াতে পেরেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

আরও পড়ুন- ট্রাম্পের সফর থেকে কী পেলাম আমরা? আমেরিকাই বা কী পেল?

আরও পড়ুন- কেন তাৎক্ষণিক চাওয়া, পাওয়ায় ততটা জোর দিলেন না ট্রাম্প, মোদী?​

তবু আমেরিকায় এটাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বছর হওয়ায় ইমপিচমেন্টের এই প্রক্রিয়া কিছুটা হলেও ট্রাম্পের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছিল তাঁর নিজের দেশে। হয়তো মতামত সমীক্ষার ফলাফলে সেটা তেমন ভাবে বেরিয়ে আসেনি। কারণ, সেই ফলাফল জানাচ্ছে, জনপ্রিয়তার নিরিখে সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাটদের চেয়ে এখনও বেশ কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প।

ডেমোক্র্যাটদের শিবিরও কিছুটা যেন দিশাহারা। কিন্তু ভাবমূর্তি এমনই একটা জিনিস, যা জনপ্রিয়তার মানদণ্ডে সব সময় মাপা সম্ভব হয় না। আর মার্কিন কংগ্রেস‌ে তাঁর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রক্রিয়া উত্তরোত্তর শক্তিশালী হয়ে ওঠায়, কোনও সন্দেহ নেই, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভাবমূর্তি কিছুটা ক্ষুণ্ণ হয়েছিল।

তাই ভারত সফরে এসে আখেরে লাভ হয়েছে ট্রাম্পের। তিনি আমেরিকার নাগরিকদের বোঝাতে পারলেন, ‘দেখ, ভারতের মতো এশিয়ার একটি শক্তিশালী দেশে আমার মর্যাদা কতটা! সেখানে আমার কত খাতির!’

হিউস্টনও ‘ক্যারিশমা’ দিয়েছিল মোদীকে

গত বছর এই ‘ক্যারিশমা’ উপভোগ করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীও। টেক্সাসের হিউস্টনে ট্রাম্পের সমর্থনে ‘হাউডি মোদী’ সমাবেশে যোগ দিয়ে। যেখানে যাবতীয় প্রোটোকল ভেঙে সম্মান জানানো হয়েছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। আর যাবতীয় প্রোটোকল ভেঙে প্রধানমন্ত্রী মোদীও ট্রাম্পকে পুনর্নির্বাচিত করার জোরালো আবেদন জানিয়েছিলেন মার্কিন ভোটারদের কাছে।

বন্ধুর জন্য অপেক্ষায়। মঙ্গলবার, দিল্লিতে।

জট খোলার পক্ষে সহায়ক হতে পারে

বাণিজ্য চুক্তি না হওয়ার ফলে কার কতটা ক্ষতি হল, আপাতত সেই হিসেবনিকেশে না ঢুকে সফর-শেষে দুই রাষ্ট্রনেতার সন্তুষ্ট হওয়ার প্রয়োজনও আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে অনস্বীকার্য। এটা আগামী দিনে দু’দেশের সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করে তুলতে সাহায্য করে। তার মাধ্যমে অনেক সমস্যার জট খুলে যায়।

সেটা হয়তো এ বার খুলতে পারে ভারতে ঢোকা মার্কিন পণ্যাদির উপর শুল্ক প্রত্যাহার বা হ্রাসের মতো কয়েকটি ইস্যুর জট খোলার মাধ্যমে। তার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর হাতে রয়েছে যেমন তাঁর বর্তমান মেয়াদের আর চারটি বছর, তেমনই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও পাবেন তাঁর পরবর্তী মেয়াদের (ধরে নেওয়া যায়, পুনর্নির্বাচিত হতে চলেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প) চারটি বছর।

মনে হচ্ছে, দু’জনেই সেই চারের কথা ভাবছেন। এক জনের দ্বিতীয় মেয়াদের বাকি আর চার বছর। অন্য জনের পরবর্তী চার বছরের মেয়াদ। তাই দু’জনেই আজ-কাল-পরশুর মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন।

এক জন চাইছেন, যত বেশি পরিমাণে সম্ভব মার্কিন পুঁজি টেনে এনে দেশের ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তুলতে। চার বছর পর যাতে নির্বাচনী প্রচারে সেটাকে ইস্যু করা যায়।

দিল্লিতে বৈঠকে, মঙ্গলবার।

অন্য জন চাইছেন, দ্বিতীয় বারের মেয়াদে যাতে দক্ষিণ এশিয়ায় আক্ষরিক অর্থেই, ভারতকে তাঁর বিশ্বস্ত বন্ধু বানিয়ে ফেলতে পারেন। যাতে চিনের গলায় ‘কাঁটা’ বানিয়ে রাখা যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভারতকে। দক্ষিণ এশিয়ায় বেসরকারি ভাবে ভারতকে যাকে আমেরিকার একটি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য ‘স্ট্র্যাটেজিক বেস’ করে তোলা যায়।

নিশ্চিন্ত ট্রাম্প, মোদীও

দু’জনেরই হাতে চার-চারটে বছর সময় আছে বলে এমনকি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও এখন ভবিষ্যতের ভাবনাই বেশি ভাবতে চাইছেন, বরাবর যিনি তাৎক্ষণিক লাভালাভকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। ট্রাম্পও হয়ে উঠেছেন অনেকটা ভবিষ্যবাদী!

তাই মার্কিন মুলুকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বছরে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি হল কি হল না, তা নিয়ে দৃশ্যত কোনও মাথাব্যথা দেখা গেল না যথেষ্টই হিসেবি বলে সুপরিচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের।

তাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কপালেও ভাঁজ বাড়ল না। কারণ, সেই চুক্তির জন্য যা আবশ্যিক ছিল, সেই ভারতের বাজারে ঢোকা মার্কিন পণ্যাদির উপর বসানো শুল্ক এখনই প্রত্যাহার করতে হল না বলে। যা আর্থিক মন্দায় হাঁসফাস করা ভারতের নাভিশ্বাস আরও বাড়াত বই কমাত না।

মোদী বরং এই স্বস্তিটুকু নিয়েই থাকতে পারলেন, আগের চেয়ে দেশে মার্কিন পুঁজি বিনিয়োগের পরিমাণ তো তাঁর আমলেই অনেকটা বেড়েছে। আর সেটা হয়েছে মার্কিন মুলুকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জমানাতেই।

তার জন্য হয়তো তুলনায় একটু বেশি এগলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ধর্মীয় স্বাধীনতা যে ভারতে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, সফরে এসে সেই বিতর্কিত প্রসঙ্গের ছায়াও মাড়ালেন না। হ্যাঁ, মাসখানেক আগে এ ব্যাপারে তাঁর দেশের কংগ্রেসনাল কমিটির রিপোর্টে গভীর অসন্তোষ ফুটে ওঠার পরেও। ভারতে গিয়ে সে সব নিয়ে উচ্চবাচ্য করলেন না বলে এ বছর ভোটের প্রচারে প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাটিক পার্টি সরব হতে পারে জেনেও।

সন্তুষ্ট হয়ে দেশে ফেরার পথে। মঙ্গলবার রাতে, দিল্লিতে।

হয়তো ভোটের বছর বলেই সেটা করলেন না ট্রাম্প। যাতে মার্কিন মুলুকে থাকা ভারতীয় ভোটারদের (যা মার্কিন জনসংখ্যার ১ শতাংশেরও কম) ‘কুনজরে’ না পড়ে যান তিনি, পুরোপুরি ‘সুনজরে’ না থাকলেও। আমেরিকায় থাকা ভারতীয় ভোটারদের প্রধান অংশটি থাকেন মূলত যে প্রদেশগুলিতে (‘স্টেটস’), সেগুলির প্রায় সবক’টিতেই আধিপত্য ডেমোক্র্যাটদের। আমেরিকার নির্বাচনে ভোটারদের ট্রেন্ড দেখাচ্ছে, যে অনাবাসী ভারতীয়রা মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেন, তাঁদের বড় অংশই ডেমোক্র্যাটদের সমর্থক। সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী মোদীর পাশাপাশি ভারতেরও ভূয়সী প্রশংসা করে ডেমোক্র্যাটদের সেই ভোট-ভিত্তিটা ভাঙারও চেষ্টা থাকতে পারে ট্রাম্পের।

তবে সেটাই আসল কথা নয়। কারণ, এই মুহূর্তে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের যে জনপ্রিয়তা (বিভিন্ন মতামত সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, গড়ে ৪৯ শতাংশ), তাতে দ্বিতীয় বারের জন্য তাঁর হোয়াইট হাউসে যাওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্টই জোরালো।

তাই ফের জিতে আসার ভাবনাটা বোধহয় অতটা ভাবাচ্ছে না এখন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। আর ভারতীয় ভোটারদের পাশে না পেলে বা আগের চেয়ে বেশি সংখ্যায় পাশে না পেলে যে তাঁর সেই অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছনোটা দুরূহ হবে ট্রাম্পের, তা-ও নয়।

ভারতকে দরকার ট্রাম্পের, ভারতেরও

হোয়াইট হাউসে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে আত্মপ্রত্যয়ী ট্রাম্প তাই ভাবতে শুরু করেছেন তাঁর পরবর্তী মেয়াদের চারটি বছর নিয়ে। সেই চার বছরে এশিয়ায় তাঁর সামরিক ও বাণিজ্যিক প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠা করতে। অর্থনীতি ও সামরিক শক্তিতে বিশ্বে চিনের একটি নজরকাড়া শক্তিতে পরিণত হয়ে ওঠার প্রেক্ষিতে। ভারত সেই চিনের একেবারে পাশের ঘরের প্রতিবেশী হওয়ায় তাই আগামী চার বছরের জন্য ভারতকে বড়ই প্রয়োজন ট্রাম্পের। ভারতের জনসংখ্যা যেমন তাঁকে মার্কিন পণ্যাদির বাজার সম্প্রসারণে সাহায্য করবে, তেমনই দক্ষিণ চিন সাগরের কাছাকাছি থাকা দেশ ভারতকে যদি বেসরকারি ভাবে হলেও, আমেরিকার ‘কমপ্রিহেনসিভ স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার’ বানিয়ে ফেলা যায়, তা হলে রাতের ঘুমটা আরও ভাল হবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের। দিল্লিতে মঙ্গলবার ট্রাম্প ও মোদীর বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতেও ‘কমপ্রিহেনসিভ স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ’ গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে।

আশা করা যায়, তেলের জন্য ভারত উত্তরোত্তর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে আমেরিকার উপর। মঙ্গলবার তার ইঙ্গিত মিলেছে ‘এক্সন’-এর সঙ্গে ইন্ডিয়ান অয়েলের একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হওয়ায়। আগামী দিনে আমেরিকার কাছ থেকে আরও বেশি পরিমাণে তেল কিনেও দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ঘাটতির পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারে ভারত। তাতে তেলের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের উপর নির্ভরতা কমাতে পারবে ভারত। সেটা আমেরিকাও চাইছে। ফলে, সেটা হলে তেল আমাদনির মাধ্যমে ভারত ও আমেরিকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক শক্তপোক্ত হয়ে উঠবে। তবে যে দামে ভারত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি থেকে তেল কিনত, আমেরিকার কাছ থেকে তেল কিনতে গিয়ে তার চেয়ে বেশি দাম চুকোতে হবে কি না, সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট হয়নি।

মার্কিন সমরাস্ত্র কিনতে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ নীতি থেকেও কিছুটা সরে আসতে হতে পারে। কারণ, পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধাস্ত্র রাশিয়ার কাছ থেকে কেনার জন্য এমন চুক্তি করা হয়েছে, যাতে সেগুলির একাংশ ভারতেও বানানো হয়। কিন্তু আমেরিকা এমন কোনও শর্ত এখনও পর্যন্ত মেনে নেয়নি। বা, মার্কিন ‘মাল্টি-রোল’ হেলিকপ্টার কেনার ক্ষেত্রেও এমন কোনও শর্তারোপ করতে পারেনি ভারত।

তবে যা-ই হোক, আগামী দিনে বাণিজ্যিক ও কুশলী অংশীদারির সম্পর্ককে জোরদার করে তুলতে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে নির্বাচনে জিতে আসা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে খুব প্রয়োজন ট্রাম্পের। আর তার জন্য তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের রসায়নটাও পাকাপোক্ত করার দরকার।

এই সফরে যে সেটা আরও পাকাপোক্ত হল, তা নিয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই অন্তত।

লেখক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক

ছবি-এএফপি

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement