মেলানিয়াকে স্বাগত জানানোর কথা ছিল কেজরীবালদের।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভারত সফর ঘিরে ফের সঙ্ঘাতের আবহ মাথাচাড়া দিচ্ছে রাজধানী দিল্লিতে। এ বার মার্কিন প্রেসি়ডেন্ট এবং ফার্স্ট লেডির সফর থেকে ইচ্ছাকৃত ভাবে তাদের বাইরে রাখার অভিযোগ তুলল অরবিন্দ কেজরীবালের আম আদমি পার্টি (আপ)।
আগামী সপ্তাহেই দু’দিনের ভারত সফরে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। আমদাবাদ এবং তাজমহল দর্শন সেরে মঙ্গলবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ওই সময়ে দক্ষিণ দিল্লির একটি সরকারি স্কুল ঘুরে দেখবেন মেলানিয়া ট্রাম্প। পড়াশোনার ফাঁকে শিশুদের জন্য যে বিশেষ ‘হ্যাপিনেস কারিকুলাম’ চালু করেছে দিল্লি সরকার, তাতে অংশ নেবেন তিনি।
শুরুতে ওই স্কুলে মেলানিয়াকে স্বাগত জানানোর কথা ছিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল এবং তাঁর ডেপুটি মনীশ সিসৌদিয়ার। শিশুদের কাছে পঠন-পাঠনকে আকর্ষণীয় করে তুলতে তাঁরা আর কী কী পদক্ষেপ করেছেন, তা সবিস্তারে বর্ণনা মার্কিন ফার্স্ট লেডিকে জানানোর কথা ছিল তাঁদের। এ নিয়ে মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে তাঁদের একদফা কথাও হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন খোদ সিসৌদিয়া।
আরও পড়ুন: ধর্মীয় স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে কি? সফরে মোদীর কাছে জানতে চাইবেন ট্রাম্প
কিন্তু শেষ মুহূর্তে তাঁদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আর তাতেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছেন আপ নেতৃত্ব। দলের নেত্রী প্রীতি শর্মা মেনন এ দিন টুইটারে লেখেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদীর মতো ক্ষুদ্র মন আর হয় না। অরবিন্দ কেজরীবাল এবং মনীশ সিসৌদিয়াকে না-ই ডাকতে পারেন আপনারা। কিন্তু ওঁদের কাজই শেষ মেশ কথা বলবে।’’
প্রীতি শর্মা মেননের টুইট।
যদিও এ ব্যাপারে তাঁদের কিছু করার নেই বলে সাফাই দিয়েছেন বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র। তাঁর যুক্তি, ‘‘কিছু বিষয় নিয়ে নীচু স্তরের রাজনীতি না হওয়াই ভাল। এ ভাবে পরস্পরের নামে কুকথা বললে দেশের বদনাম হবে। তাছাড়া আমেরিকা কাকে ডাকবে আর কাকে ডাকবে না, তাতে ভারত সরকারের কোনও ভূমিকা নেই।’’
আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে মাটির নীচে ৩ হাজার টন সোনার খোঁজ পেল জিএসআই
তবে এতেও বিতর্ক থামার নাম নেই। আপ নেতৃত্বের অভিযোগ, ক্ষমতায় আসার পর সরকারি স্কুলগুলিকে ঢেলে সাজিয়েছেন অরবিন্দ কেজরীবাল। পড়াশোনার চাপে পড়ুয়াদের যাতে দমবন্ধ হয়ে না আসে, তার জন্য ‘হ্যাপিনেস ক্লাস’ শুরু করা হয়, যার আওতায় পড়ুয়াদের ধ্যান করানো হয়। ঠিক কোথায় সমস্যা হচ্ছে তাদের, কথা বলে তা বোঝার চেষ্টা করেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এত দিন দিল্লি সরকারের এই পদক্ষেপকে কোনও গুরুত্বই দেয়নি বিজেপি। বরং বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভুয়ো ভিডিয়ো ছড়িয়ে স্কুলগুলির দূরবস্থা প্রমাণ করার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে তারা। কিন্তু এখন ঘটা করে সেই স্কুলেই মার্কিন ফার্স্ট লেডিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।