জাতিগত শংসাপত্র চেয়ে এই আবেদনপত্র জমা করেছে এক সারমেয়। ছবি: সংগৃহীত।
জাতিগত শংসাপত্র চেয়ে হাজারো আবেদন জমা পড়েছে। একটি আবেদনপত্র দেখে মাথায় হাত বিহারের গয়া জেলার সরকারি আধিকারিকদের। আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হয়েছে আধার কার্ডের প্রতিলিপি। তাতে জন্ম তারিখ, ঠিকানা, লিঙ্গ সবই ঠিক রয়েছে। তবে আবেদনটি কোনও মানুষ করেননি। করেছে এক সারমেয়। নাম টমি। আধার কার্ডে জ্বলজ্বল করছে তার ছবি।
গয়ার গুরারু আঞ্চলিক অফিসে এই জাতিগত শংসাপত্র চেয়ে এই আবেদনপত্রটি জমা পড়েছে। আধার কার্ডে অভিভাবকের নামের জায়গাও খালি রাখা হয়নি। বাবার নাম শেরু। মায়ের নাম জিনি। জন্মের তারিখ ২০২২ সালের ৪ এপ্রিল। পাণ্ডেপোখর গ্রামের রৌনা পঞ্চায়েতের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে তার বাস। কঙ্খ থানার অন্তর্গত সেই এলাকা। আবেদনপত্রটি খারিজ করা হয়েছে। টমি থুড়ি অভিযুক্ত আবেদনকারীর খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
গুরারু ব্লকের সার্কল অফিসার সঞ্জীবকুমার ত্রিবেদী জানিয়েছেন, আধার কার্ডে লেখা নম্বরে ফোন করেছিলেন তিনি। ট্রুকলারে দেখাচ্ছে, ওই নম্বর রাজা বাবু নামে এক ব্যক্তির। ত্রিবেদী জানিয়েছেন, ২৪ জানুয়ারি ওই ‘ভুয়ো’ আধার কার্ড জমা পড়েছিল। কেউ ঠাট্টা করার জন্য এ সব করেছিলেন। পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করছে। ইতিমধ্যে কুকুরের ছবি দেওয়া সেই আধার কার্ড ভাইরাল। ৭ জানুয়ারি থেকে বিহারে নীতীশ কুমার সরকার জাতিভিত্তিক সুমারি শুরু করেছে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই ওই কুকুরের আধার কার্ড জমা পড়েছে।