Cancer Patient

সাহায্য দূরের কথা, বাঙালি ক্যানসার রোগিণীকে দিল্লিতে নামিয়ে দিয়ে চলে গেল আমেরিকার বিমান

অসুস্থতার কারণে বিমানকর্মীদের নির্দেশ মানতে পারেননি ক্যানসার রোগী। অভিযোগ, সাহায্য না করে ওই প্রবীণাকে দিল্লি বিমানবন্দরে উড়ান থেকে নামিয়ে দিল আমেরিকার এয়ারলাইনস সংস্থা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:৩৪
Share:

সাহায্য না করে প্রবীণাকে দিল্লি বিমানবন্দরে উড়ান থেকে নামিয়ে দিল আমেরিকার এয়ারলাইনস সংস্থা। ছবি: প্রতীকী

আবারও উড়ানে চরম হেনস্থার শিকার এক যাত্রী। এ বার অভিযুক্ত বিমান সংস্থা। অসুস্থতার কারণে বিমানকর্মীদের নির্দেশ মানতে পারেননি ক্যানসার রোগী। অভিযোগ, সাহায্য না করে ওই প্রবীণাকে দিল্লি বিমানবন্দরে উড়ান থেকে নামিয়ে দিল আমেরিকার এয়ারলাইনস সংস্থা। নয়াদিল্লি থেকে নিউ ইয়র্ক যাচ্ছিল বিমানটি। গত ৩০ জানুয়ারি এই কাণ্ড ঘটেছে।

Advertisement

প্রবীণা ওই যাত্রীর নাম মীনাক্ষী সেনগুপ্ত। আমেরিকায় থাকেন তিনি। আমেরিকান এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, তিনি অসুস্থ। তা বলার পরেও যাত্রী আসনের মাথার উপরে থাকা কেবিনে ব্যাগ তুলতে সাহায্য করেননি কর্মীরা। ব্যাগটির ওজন ছিল প্রায় আড়াই কেজি। সেই ব্যাগ তোলার ক্ষমতা তাঁর ছিল না। এটা জানার পরেও বিমানকর্মীরা এগিয়ে আসেননি।

অসামরিক বিমান মন্ত্রকের নিয়ামক সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ) প্রধান অরুণ কুমার বলেন, ‘‘আমরা এই বিষয়ে রিপোর্ট চেয়েছি। এই ধরনের অসংবেদনশীলতা আমরা বরদাস্ত করব না।’’

Advertisement

আমেরিকান এয়ারলাইনস বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘‘৩০ জানুয়ারি দিল্লি থেকে নিউ ইয়র্ক যাচ্ছিল আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ২৯৩। বিমানকর্মীদের নির্দেশ মানেননি বলে উড়ানের আগে এক যাত্রীকে নামিয়ে দেওয়া হয়। আমাদের কাস্টমার রিলেশন টিম ওই যাত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁর টিকিটের টাকা (অব্যবহৃত অংশ) ফেরত দিয়ে দিয়েছে।’’

ভারতে ছুটি কাটাতে এসেছিলেন মীনাক্ষী। সে সময় তাঁর ক্যানসার ধরা পড়ে। দ্রুত একটি অস্ত্রোপচারও করা হয়। গত ৩০ জানুয়ারি আমেরিকা ফিরে যাচ্ছিলেন তিনি। আমেরিকান এয়ারলাইন্সের বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়ার পর অন্য একটি সংস্থার বিমানে টিকিট কেটে যেতে হয় তাঁকে। আমেরিকায় চিকিৎসা করানোর জন্য দ্রুত এই ব্যবস্থা করতে হয় তাঁকে। এ জন্য কাঠখড়ও পোড়াতে হয়।

সমাজমাধ্যমে আমেরিকান এয়ারলাইন্সকে ট্যাগ করে ঘটনার কথা জানিয়েছেন মীনাক্ষীর মেয়ে। তিনি হুইলচেয়ারে চেপেই বিমানবন্দরে যাতায়াত করেছিলেন। তার পরেও এ ধরনের হেনস্থার কারণে ক্ষুব্ধ তিনি। মীনাক্ষী ডিজিসিএর কাছে অভিযোগ করে লিখেছেন, ‘‘বিমানবন্দরের কর্মীরা খুবই সাহায্য করেছেন। আমাকে বিমানে তুলে আমার হ্যান্ডব্যাগ পাশে রেখে দিয়েছিলেন। বিমানে উঠে কর্মীদের আমার শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়েছিলাম। কেউই আমার হ্যান্ডব্যাগ কেবিনে তুলে রাখার কথা বলেননি। উড়ানের আগে বিমানের আলো কমিয়ে দেওয়া হয়। তখন এক বিমানকর্মী এসে আমাকে ব্যাগ কেবিনে তুলে রাখতে বলেন। আমি সাহায্য চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আমার কাজ না’।’’

মীনাক্ষী জানিয়েছেন, অনেক অনুরোধের পরেও তাঁকে বিমানকর্মীরা সাহায্য করেননি। বিমানচালক এসেও এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে রাজি হননি। এর পর বিমানকর্মীরা তাঁকে বিমান থেকে নামিয়ে দেন। প্রবীণা যাত্রী দাবি করেছেন, তাঁর পিএনআর (যাত্রীদের বিষয়ে তথ্য)-এও বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন বিমানকর্মীরা। সে কারণে পরের দিনও আমেরিকান এয়ারলাইন্সের বিমানের টিকিট কিনতে পারেননি তিনি। অন্য এক সংস্থার বিমান ধরে আটলান্টা যেতে হয়। সেখান থেকে গাড়িতে শার্লটি পৌঁছন। মীনাক্ষী আমেরিকান এয়ারলাইন্সের এই পদক্ষেপ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement