Prawn

Prawn: কাজের সময় নাকে ঢুকল জলের ‘পোকা’! ছটফটিয়ে হাসপাতালে যেতেই বেরোল জ্যান্ত চিংড়ি! বাঁচল প্রাণ

এন্ডোস্কোপি করে দেখা যায় তত ক্ষণে চিংড়ি পৌঁছে গিয়েছে ফুসফুসের কাছাকাছি। তার পর অত্যন্ত সাবধানে চিংড়িটিকে বার করেন চিকিৎসকেরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২২ ২১:২১
Share:

টুইটার থেকে নেওয়া।

আর পাঁচ দিনের মতোই মৎস্যচাষি সত্যনারায়ণ ব্যস্ত ছিলেন ভেড়ির পরিচর্চায়। আচমকাই জল থেকে লাফিয়ে উঠল একটি চিংড়ি। সোজা ঢুকে পড়ল নাকে। দম আটকে প্রাণ যায় দশা সত্যনারায়ণের। শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে জটিল প্রক্রিয়ায় প্রাণ বাঁচল সত্যনারায়ণের। আশ্চর্যজনক ভাবে নাক দিয়ে বার করা হল জ্যান্ত ছটফটানো চিংড়িটিকেও।

Advertisement

অন্ধ্রপ্রদেশের পশ্চিম গোদাবরী জেলার গণপভরম। সেখানেই একটি ভেড়িতে কাজ করেন সত্যনারায়ণ। সে দিনও সকাল সকাল জলে নেমে জঞ্জাল পরিষ্কার, আল বাঁধ ঠিক করার কাজ করছিলেন। আচমকাই জল থেকে লাফিয়ে ওঠে একটি চিংড়ি। সোজা ঢুকে যায় সত্যনারায়ণের নাক দিয়ে। নাকে চিংড়ি ঢুকতেই তা ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করতে থাকেন সত্যনারায়ণ। কিন্তু যতই নাক ঝাড়েন, ততই চিংড়ি ঢুকে পড়ে নাক থেকে গলায়। এক সময় শ্বাস আটকে ভেড়ির ভিতরেই পড়ে যান তিনি। ছুটে আসেন সঙ্গীরা। তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।

হাসপাতালে এন্ডস্কোপি করে দেখা হয় চিংড়ির অবস্থান। তত ক্ষণে চিংড়ি পৌঁছে গিয়েছে ফুসফুসের কাছাকাছি। তার পর অত্যন্ত সাবধানে চিংড়িটিকে বার করেন চিকিৎসকেরা। আশ্চর্যের ব্যাপার, চিকিৎসকেরা যখন চিংড়িটিকে বার করলেন, তখনও সে দিব্য জ্যান্ত, রীতিমতো নড়াচড়া করছে চিকিৎসকদের হাতে!

Advertisement

শেষ পর্যন্ত সত্যনারায়ণের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়। উপরি হিসেবে প্রাণ বাঁচে চিংড়িটিরও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement