ভূকম্পের মাঝেও অস্ত্রোপচার চালিয়ে গিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। প্রতীকী ছবি।
অস্ত্রোপচারের মাঝেই দুলে উঠল গোটা হাসপাতাল। অপারেশন থিয়েটারের যন্ত্রপাতিগুলি থর থর করে কাঁপছিল। তত ক্ষণে চিকিৎসকরা বুঝে গিয়েছিলেন কী ঘটছে। এক চিকিৎসককে বলতে শোনা গেল, “বাচ্চাকে সামলে রাখুন…বাচ্চাকে সামলে রাখুন।” তার পরই চিকিৎসকরা ঈশ্বরকে স্মরণ করতে থাকেন সমস্বরে। দুলুনির মাঝেই বিদ্যুৎ চলে যায়। অস্ত্রোপচার তখন মাঝপথে। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। এক দিকে ভূকম্পন, অন্য দিকে বিদ্যুৎবিভ্রাট— এই দুই পরিস্থিতিকে চ্যালেঞ্জ করে সফল অস্ত্রোপচার করলেন চিকিৎসকরা।
সম্প্রতি অপারেশন থিয়েটারের এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। ভিডিয়োটি জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের (সিএমও) টুইটার অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা হয়েছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ওই টুইটারে দাবি করা হয়েছে, ঘটনাটি অনন্তনাগের বিজবেহরার সদর হাসপাতালের। মঙ্গলবার রাতে দিল্লি-সহ গোটা উত্তর ভারত কেঁপে উঠেছিল। কম্পন অনুভূত হয় জম্মু-কাশ্মীরের বহু জায়গায়। তার মধ্যে অনন্তনাগও ছিল।
যে সময় ভূমিকম্প হয়েছিল, সেই সময় বিজবেহরার ওই সরকারি হাসপাতালে এক প্রসূতির অস্ত্রোপচার চলছিল। আচমকাই গোটা অপারেশন থিয়েটার দুলতে শুরু করে। চিকিৎসকেরা বুঝতে পেরেছিলেন ভূমিকম্প হচ্ছে। কিন্তু অস্ত্রোপচার তখন মাঝপথে। রোগী এবং তাঁর সদ্যোজাত সন্তানের জীবনসঙ্কট হতে পারে এই আশঙ্কা করে ভূমিকম্প উপেক্ষা করেও অস্ত্রোপচার চালিয়ে যান চিকিৎসকেরা। এক চিকিৎসক বলতে থাকেন, “বাচ্চার যেন কোনও ক্ষতি না হয়।” এর পরই গোটা অপারেশন থিয়েটার অন্ধকারে ডুবে যায়।। কয়েক সেকেন্ড অন্ধকার থাকার পর আবার বিদ্যুৎ ফিরে আসে। কম্পনও কমে যায়।
সেই ভিডিয়োই অনন্তনাগ জেলা স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশ করে জানিয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করে গিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের এই নিষ্ঠা সত্যিই প্রশংসনীয়।