রহস্যময় আলোর উৎস কী, কৌতূহল বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। প্রতীকী ছবি।
ভূকম্পনের মাঝেই হরিয়ানার আকাশে ‘রহস্যময় আলো’ দেখা গেল। আর সেই রঙিন আলোকে ঘিরেই বাড়ছে রহস্য। মঙ্গলবার রাত ১০টা ২৫ মিনিটে কেঁপে ওঠে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশের বহু জায়গা। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৬। কয়েক সেকেন্ড ধরে সেই কম্পন অনুভূত হয়।
সেই কম্পনের মাঝেই হরিয়ানার যমুনানগরের আকাশে কখনও লাল, কখনও বেগুনি এবং কখনও আবার কমলা রঙের আলো দেখা গিয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বার বার রং বদলাতে দেখা গিয়েছে ওই আলোর। ওটা কিসের আলো? রহস্য এবং কৌতূহল বেড়েছে আমজনতার মধ্যে।
কিন্তু কি এই ‘রহস্যময় আলো’? ভূমকম্পনের সঙ্গে এর কি কোনও যোগ আছে? এ প্রসঙ্গে কী বলছেন বিজ্ঞানীরা?
বিজ্ঞানীদের দাবি, এই ধরনের ‘রহস্যময় আলো’ খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। বিশেষ করে ভূকম্পনের আগে বা কম্পনের মাঝেই আকাশে রংবেরঙের আলো চোখে পড়তে পারে। কিন্তু অনেকেই এর কারণ না জানায়, কখনও রহস্যময়, কখনও আবার ভিন্গ্রহী যানের তত্ত্বও ওঠে। যদিও সেই সব তত্ত্ব খারিজ করেছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা এই ধরনের আলোর উৎসের খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছেন দীর্ঘ দিন ধরে। তাঁদের দাবি, এই আলোর সঙ্গে ভূমিকম্পের যোগ রয়েছে। বিশেষত যে অঞ্চল টেকটনিক প্লেটের চ্যুতিরেখার উপর পড়ছে, সেখানেই কম্পনের আগে বা কম্পনের মাঝে এই ধরনের আলো দেখা যায়।
বিজ্ঞানীদের দাবি, চ্যুতিরেখায় ঘর্ষণের ফলে পাথরে যে চাপ সৃষ্টি হয়, তার ফলে একটা বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়। আর বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের কারণে আকাশে রংবেরঙের আলো দেখা যায়। কিন্তু কেন কম্পনের আগে কিংবা কম্পনের মাঝেই এই আলো দেখা যায়, তার স্পষ্ট কোনও ব্যাখ্যা খুঁজে পাননি বিজ্ঞানীরা। তবে তাঁরা আশাবাদী এর কারণও খুব শীঘ্রই খুঁজে বার করবেন।