স্মার্ট সিটি প্রকল্পের অঙ্গ হিসেবে আগরতলায় চলছে শহিদ স্মৃতি স্তম্ভ ভাঙার কাজ। ছবি: বাপী রায়চৌধুরী
বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে নিহত মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় সেনাদের স্মৃতিতে আগরতলা পোস্ট অফিস চৌমূহনীতে শহিদ স্তম্ভ স্থাপন করা হয়েছিল। বর্তমান ত্রিপুরা সরকার সেই স্তম্ভটি ভেঙে ফেলছে। এই খবর বাংলাদেশে জানাজানি হতেই সে দেশের ২০ জন বিশিষ্ট নাগরিক যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, ‘‘দুই দেশের সম্পর্কের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত স্মৃতি স্তম্ভটি গুঁড়িয়ে ফেলায় আমরা ব্যথিত বোধ করছি। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে স্মৃতি স্তম্ভটি যথাস্থানে স্বমহিমায় পুনঃস্থাপনের অনুরোধ জানাচ্ছি।’’
প্রদেশ কংগ্রেসের বাংলাদেশ লিবারেশন কমিটির চেয়ারম্যান মানিক দেবের বক্তব্য, ‘‘একটি মর্যাদাপূর্ণ অনুষ্ঠান করে এবং যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন করেই এই শহীদ স্মৃতিটি সরানো যেত। তা না করে বর্তমান সরকার অমর্যাদার সঙ্গে এই শহিদ স্মৃতিটিকে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে।’’
বাংলাদেশ থেকে ফোনে নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার জানিয়েছেন, তাঁরা চান মুক্তিযুদ্ধের সব স্মৃতি সংরক্ষণ করা হোক। তার মধ্যে আগরতলার স্মৃতিচিহ্নগুলিও রয়েছে। বাংলাদেশের প্রাবন্ধিক ও মুক্তিযুদ্ধ সংগ্রহশালার ট্রাস্টি মফিদুল হকের মতে, দু’দেশের বন্ধনের প্রতীক এই শহিদ স্তম্ভ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারত তথা ত্রিপুরার বাসিন্দাদের বিপুল সমর্থনের বিশেষ ভূমিকা ছিল।