ছবি: সংগৃহীত।
কোনওটির ওজন ৪০ কেজি, তো কোনও আবার ২৫ কেজি। মধ্যপ্রদেশের সেন্ধওয়া জেলায় জঙ্গলের ভিতরে ডিমের মতো দেখতে বিশাল বস্তুকে ঘিরে রহস্য তৈরি হয়েছে।
সেগুলি কি ডায়নোসরের ডিম, নাকি ক্ষয়ে যাওয়া পাথর তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। পুরাতাত্ত্বিকদের মতে, এগুলি ক্রিটাসিয়াস যুগের ডায়নোসরের ডিম। ১০টি এ রকম ডিম নাকি ওই জেলায় খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু তাঁদের এই তত্ত্ব মানতে নারাজ ভূতত্ত্ববিদরা।
তাঁদের দাবি, এগুলি কোনও জীবাশ্ম ডিম নয়। লক্ষ লক্ষ বছর ধরে পাথর ক্ষয়ে গিয়েই এ রকম ডিমের আকৃতি নিয়েছে। দু’দিন আগেই রাজ্যে পুরাতত্ত্ব বিভাগের একটি দল ওই জঙ্গলে পর্যবেক্ষণ চালানোর সময় ডিম্বাকৃতি বস্তুগুলিকে দেখতে পান তাঁরা। পুরাতত্ত্ব বিভাগের আধিকারিক ডিপি পাণ্ডে জানিয়েছেন, সবচেয়ে বড় ডিমটির ওজন ৪০ কেজি। ২৫ কেজির ওজনেরও বেশ কয়েকটি পাওয়া গিয়েছে। ইনদওরে তিনটি ডিম নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জাদুঘরে সেগুলি রাখা হবে প্রদর্শনীর জন্য।
জীবাশ্মবিদ ধনঞ্জয় মহাবে জানিয়েছেন, ওই বস্তুগুলি ৬৭০ কোটি বছর আগের। তবে ব্যাসল্ট শিলা ক্ষয়ে গিয়েই এগুলি তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন ধনঞ্জয়। ২০০৭-এ এই রাজ্যের ধর জেলায় সরোপড ডায়নোসরের ডিম পাড়ার জায়গা এবং জীবাশ্ম হয়ে যাওয়া ডিম উদ্ধার হয়েছিল। ফলে সেন্ধোয়া জেলায় উদ্ধার হওয়া ডিম্বাকৃতি বস্তুগুলিকে নিয়ে রহস্য বাড়ছে।