প্রতীকী ছবি।
করোনা পরিস্থিতিতে রেস্তরাঁয় বসে খাওয়ার সুখ হাত ছাড়া হতে পারে দিল্লিবাসীর। বদলে আগামী কিছু দিন বাইরের খাবার বাড়ির পরিবেশেই উপভোগ করতে হতে পারে। কারণ সূত্রের খবর, করোনা সংক্রমণে রাশ টানতে খুব শীঘ্রই রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করতে পারে দিল্লি সরকার। তবে রেস্তরাঁ বন্ধ হচ্ছে না। রেস্তরাঁ থেকে খাবার নিয়ে যাওয়া বা বিভিন্ন অ্যাপ মারফৎ হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা চালু থাকবে।
গত কয়েক দিনে দিল্লিতে দ্রুত গতিতে ছড়িয়েছে সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ হাজার ৭৫১ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন দিল্লিতে। করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। যা গত বছর জুন মাসের পর থেকে সর্বোচ্চ। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৮০০ জন। এই পরিস্থিতিতে দিল্লির বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ সোমবার একটি বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানেই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আশু কর্তব্য স্থির হয়। রেস্তরাঁ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তটি সেই পরিকল্পনারই অঙ্গ বলে জানিয়েছেন বৈঠকে উপস্থিত দিল্লির এক প্রশাসনিক কর্তা।
রবিবারই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল জানিয়েছিলেন, যদি দিল্লিবাসী করোনা বিধি মেনে চলেন এবং দায়িত্বশীল হন তবে লকডাউন করা হবে না। সোমবারের বৈঠকেও লকডাউন না করে কী ভাবে সরকার নির্দেশিত বিধিনিষেধগুলি কঠোর ভাবে বলবৎ করে সংক্রমণ ঠেকানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজল, মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল এবং স্বাস্থ্য-সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দফতরের আধিকারিক। রাজধানীতে হুরমুড়িয়ে বেড়ে চলা সংক্রমণ ঠেকানোর বিষয়ে সেখানেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
তবে বৈঠকে আলোচিত বিষয়গুলি এখনও সরকারি ভাবে ঘোষণা করেনি দিল্লি সরকার। কেজরীবাল বলেছেন, এখনই ভয় পাওয়ার বা উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কিছু হয়নি। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে আমরা লকডাউন করব না ঠিক করেছি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রাশ টানা হতে পারে। প্রসঙ্গত, দিল্লির মতো না হলেও পশ্চিমবঙ্গে করোনাস্ফীতিকে নজরে রেখে ইতিমধ্যেই রেস্তরাঁগুলিতে ৫০ শতাংশ গ্রাহক নিয়ে চালানোর পরামর্শ দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।