ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। ফাইল চিত্র।
ভারতীয় সমাজে এখনও সর্বস্তরে মান্যতা পায়নি একত্রবাস সম্পর্ক। তাই এই ধরনের সম্পর্ক ভাঙার পরে কোনও মহিলার একা থাকা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। তাঁকে আইনের সাহায্য নিতেই হয়— একটি মামলায় এমনই মন্তব্য করল ইলাহাবাদ হাই কোর্ট।
সম্প্রতি এক মহিলা অভিযোগ করেন, তাঁর একত্রবাসের সঙ্গী বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করলেও শেষ পর্যন্ত বিয়েতে রাজি হননি। এর আগে এক বার বিয়ে হয়েছিল ওই মহিলার। দু’টি ছেলেও রয়েছে। সেই সম্পর্ক ভাঙার পরে একত্রবাসের সম্পর্কে থাকাকালীন তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এর পরেই একত্রবাসের সঙ্গী বিয়ে করতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ। অভিযোগকারিণী জানিয়েছেন, সম্পর্ক ভাঙার পরে একত্রবাসের সঙ্গী তাঁর কিছু ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি প্রাক্তন স্বামীকে পাঠিয়েছিলেন। তাই তিনি ফিরতে চাইলেও প্রাক্তন স্বামী রাজি হননি। এর পরেই ওই মহিলা তাঁর সঙ্গীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও বিশ্বাসভঙ্গের মামলা করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় ওই ব্যক্তিকে। গত বছরের ২২ নভেম্বর থেকে তিনি জেলেও ছিলেন। জামিনের আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি বলেন, “একত্রবাস সম্পর্কের ভয়ঙ্কর পরিণতিগুলির মধ্যে এটি একটি। এমন সম্পর্কে ভাঙনের পরে এক জন মহিলার একা থাকা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। ভারতীয় সমাজ এই ধরনের সম্পর্ককে মান্যতা দেয় না। তাই বিচ্ছেদের পরে এক জন মহিলার মামলা করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় থাকে না।”
ওই মহিলা প্রাপ্তবয়স্ক জানিয়ে আদালতে অভিযুক্তের আইনজীবী দাবি করেন, বিয়ের প্রতিশ্রুতির অভিযোগ ভুয়ো। অভিযোগ করেন, পুলিশ তদন্তে পক্ষপাত করেছে। অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করেছে হাই কোর্ট।