ফাইল চিত্র।
বলিউড সম্পর্কে কোনও মানহানিকর বিষয়বস্তু চ্যানেল বা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ না করতে ‘রিপাবলিক টিভি’ ও ‘টাইমস নাও’ চ্যানেলকে নির্দেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট।সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুসংক্রান্ত বিতর্কের সময়ে সংবাদমাধ্যমের একাংশে বলিউড সম্পর্কে ‘অবমাননাকর বিষয়বস্তু’ ও ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’-এর বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছে বলিউড প্রযোজকদের সংগঠন। মামলায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে আছে
আমির খান, অজয় দেবগন, অক্ষয় কুমারের সংস্থা। আর্জিতে জানানো হয়,বলিউড সম্পর্কে ‘নোংরা’, ‘মাদকাসক্ত’-এর মতো শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। তাতে বলিউডের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের জীবিকার ক্ষতি হতে পারে। আজ শুনানির সময়ে বিচারপতি রাজীব শাকধের বলেন, ‘‘সাংবাদিকদের এড়িয়ে পালানোর সময়ে মারা গিয়েছিলেন রাজকুমারী ডায়ানা। সংবাদমাধ্যমের ভাষা কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। মানুষ এখন গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভকে ভয় পাচ্ছেন।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘টিভি বিতর্কে একে অপরকে শাপশাপান্ত করছেন অংশগ্রহণকারীরা। এর চেয়ে সাদা-কালো দূরদর্শনের আমল ভাল ছিল।’’
বিচারপতি প্রশ্ন করেন, যদি বলিউড ব্যক্তিত্বেরা ব্যক্তিগত ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন তবে তাঁরা ব্যক্তি হিসেবে মামলায় অংশ নিচ্ছেন না কেন? প্রযোজকদের আইনজীবী জানান, প্রযোজকেরা আবেদনকারী সংগঠনের সদস্য। তবে তাঁর মক্কেলরা ব্যক্তি হিসেবে মামলায় অংশগ্রহণ করবেন কি না সেই বিষয়ে তিনি তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
‘টাইমস নাও’ চ্যানেলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বেনেট কোলম্যান গোষ্ঠীর আইনজীবীর কাছে বিচারপতি জানতে চান, ‘‘চ্যানেল নিজস্ব নিয়ন্ত্রণবিধি মেনে না চললে কী করা উচিত? আপনারা আদালতে যে মুচলেকা দিয়েছেন তাতে কাজ হচ্ছে বলে মনে হয় না। নিভের্জাল সংবাদ পরিবেশন করা উচিত। আগামিকাল আইনজীবীদের নিয়েও এমন মন্তব্য করা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে মক্কেলের প্রতিনিধিত্বের ঊর্ধ্বে উঠে আমাদের জানান কী করা উচিত।’’ দুই চ্যানেলের আইনজীবী জানান, তাঁরা টিভি অনুষ্ঠান বিধি ও কেব্ল টিভি নেটওয়ার্ক (নিয়ন্ত্রণ) আইন মেনে চলবেন। তবে কী ধরনের বিষয়বস্তুকে ‘মানহানিকর’ বলা হচ্ছে তা জানতে চান তিনি।
এই মামলায় ‘রিপাবলিক টিভি’, তার প্রধান সম্পাদক অর্ণব গোস্বামী ও সাংবাদিক প্রদীপ ভাণ্ডারী, ‘টাইমস নাও’-এর প্রধান সম্পাদক রাহুল শিবশঙ্কর ও সম্পাদক নবিকা কুমার এবং গুগল, ফেসবুক ও টুইটারকে নোটিস দিয়েছে হাইকোর্ট।