ফাইল ছবি
মহারাষ্ট্র, কর্নাটক ও হরিয়ানায় বিরোধীদের কাছ থেকে রাজ্যসভা নির্বাচনে বাড়তি আসন ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে বিজেপি। তাতেও সার্বিক আসন আগের থেকে কমে গিয়েছে বিজেপির। ভোটের আগে রাজ্যসভায় বিজেপির আসন সংখ্যা ছিল ৯৫। যা কমে হয়েছে ৯২। তুলনায় কংগ্রেসের আসন ২৯ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩১।
গত মার্চেই রাজ্যসভার আসন সংখ্যার নিরিখে একশোর গন্ডি পার হতে সক্ষম হয়েছিল নরেন্দ্র মোদীর দল। প্রায় তিন দশক পরে কোনও একটি দল রাজ্যসভায় একশো আসন দখলে সক্ষম হয়। কিন্তু একাধিক সাংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ায় জুন মাসেই বিজেপির আসন সংখ্যা নেমে আসে ৯৫-তে। জুন মাসে দেশের ১৫টি রাজ্যে ৫৭টি আসনে রাজ্যসভার নির্বাচন হয়। তাতে বিজেপির আসন সংখ্যা ৯৫ থেকে নেমে ৯২-তে এসে দাঁড়িয়েছে। দলের বক্তব্য, পঞ্জাব, ছত্তীসগঢ় বিধানসভায় খারাপ ফল এবং উত্তরপ্রদেশে গত বিধানসভার চেয়ে কম আসন পাওয়ার কারণে এ বার তিনটি আসন হারাতে হয়। দলের এক নেতার কথায়, ‘‘তাও কর্নাটক, মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় একটি করে বাড়তি আসন লাভ করায় কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে গিয়েছে। তা না হলে আসন সংখ্যা ৮৯-তে গিয়ে দাঁড়াত। সে ক্ষেত্রে আশু রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী দলগুলির সঙ্গে ভোটের ফারাক আরও বৃদ্ধি পেত। আর ভবিষ্যতে রাজ্যসভায় কোনও বিল পাশের সময়ে ভোটাভুটির প্রশ্নে আগের চেয়ে দুর্বল অবস্থানে থাকত দল।’’ বর্তমানে রাষ্ট্রপতি মনোনীত সাতটি আসন ফাঁকা রয়েছে। ওই পদগুলিতে প্রার্থী দিলেই রাজ্যসভায় দলীয় সাংসদ সংখ্যা ফের একশোর কাছাকাছি হয়ে যাবে বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে এ বারের নির্বাচনে ভাল ফল করেছে অন্ধ্রপ্রদেশের শাসক দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টি।। ওয়াইএসআর কংগ্রেস দলের সাংসদ সংখ্যা ছয় থেকে বেড়ে হয়েছে নয়। যাতে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে শাসক দল বিজেপি। ওয়াইএসআর কংগ্রেস নিজেদের অ-কংগ্রেস এবং অ-বিজেপি দল হিসেবে দাবি করলেও, অতীতে রাজ্যসভায় ভোটাভুটির সময়ে ওই দলের সাংসদেরা হয় শাসক শিবিরকে সমর্থন করেছেন না হলে ভোট না দিয়ে ফায়দা করে দিয়েছেন শাসক শিবিরকে। অন্য দিকে আম আদমি পার্টির সাংসদ সংখ্যা এ যাত্রায় আট থেকে বেড়ে হয়েছে দশ। সাংসদ সংখ্যার বিচারে এই মুহূর্তে রাজ্যসভায় চতুর্থ বৃহত্তম দল হল আপ। অন্য দিকে চলতি রাজ্যসভা ভোটের পরেও সাংসদ সংখ্যা এক রয়েছে ডিএমকে (১০), বিজেডি (৯), টিআরএস (৭), জেডিইউ (৫), এনসিপি (৪) ও শিবসেনার (৩)। বড় দলগুলির মধ্যে সমাজবাদী পার্টির আসন সংখ্যা পাঁচ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে তিনে। যদিও তাঁদের সমর্থনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে রাজ্যসভায় জিতে এসেছেন কপিল সিব্বল ও আরএলডি-র জয়ন্ত চৌধুরী। মায়াবতীর দল বিএসপির সাংসদ সংখ্যা তিন থেকে নেমে এসেছে একে। অধিকাংশ বিরোধী দলের আসন কমা স্বস্তি দিয়েছে শাসক শিবিরকে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।