ডেরেক ও’ব্রায়েন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কাকলি ঘোষ দস্তিদার। ফাইল চিত্র।
ত্রিপুরার রাজনীতিতে জাঁকিয়ে বসছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার সকালে আগরতলা পৌঁছলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন ও বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তৃণমূল সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ত্রিপুরা পৌঁছনোর কথা থাকলেও, কর্মসূচিতে বেশ কিছু রদবদল হয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাই আগামী শুক্রবার দুপুরের বিমানে দিল্লি থেকে ত্রিপুরা রওনা হতে পারেন তিনি। গত কয়েক দিন ধরে আগরতলার একটি হোটেলে বন্দি ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের প্রতিনিধিরা। সমীক্ষার কাজে গিয়ে ত্রিপুরায় আটকে পড়েছেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সরকারের এমন কাজের বিরুদ্ধে সরব হতে বুধবার ত্রিপুরায় গিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক, ব্রাত্য বসু এবং তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছেন, যে ভাবে আইপ্যাকের প্রতিনিধিদের আটকানো হয়েছে তা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক। এই কাজের প্রতিবাদে সর্বভারতীয় তৃণমূল নেতৃত্ব সরব হবেন ত্রিপুরার মাটিতে। ধাপে ধাপে তাই ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূলের পাশে দাঁড়াতে প্রথমে রাজ্যের মন্ত্রী ও পরে সাংসদদের পাঠানোর কৌশল নেওয়া হয়েছে।
২০২৩ সালে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। সেই লক্ষ্যেই ত্রিপুরায় আইপ্যাকের প্রতিনিধিরা সমীক্ষার কাজে গিয়েছেন। প্রাথমিক পর্যায়ের কাজে গিয়ে যে ভাবে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থাকে বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে, তাতে মোটেই খুশি নন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই প্রথম থেকেই প্রতিবাদের ঝড় তুলে বিপ্লব দেবের সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ২০২৩ সালের ভোটে নিজেদের যাত্রাপথকে সুগম করতে বাংলার শাসক দল। আর সেই কাজে কান্ডারী হিসেবে শুক্রবার আগরতলায় পা রাখতে পারেন অভিষেক।