জেপি সিংহ এবং মহম্মদ ইয়াকুব। ছবি: পিটিআই।
আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতায় আসার প্রায় তিন বছর পর একটি তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ করল নয়াদিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের আফগানিস্তান (এবং পাকিস্তান ও ইরান) বিষয়ক যুগ্মসচিব জেপি সিংহের নেতৃত্বের একটি উচ্চপদস্থ সরকারি প্রতিনিধিদল কাবুলে গিয়ে তালিবানের কার্যনির্বাহী প্রতিরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী মহম্মদ ইয়াকুবের সঙ্গে বৈঠক করল। তালিবান ক্ষমতায় ফেরার পরে এই পর্যায়েরবৈঠক এই প্রথম।
আজ সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, শুধু আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রীই নন, ভারতীয় প্রতিনিধিদল আলোচনা করেছে সে দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রপুঞ্জের বিভিন্ন শাখা, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজ়াই এবং অন্য মন্ত্রীদের সঙ্গেও। আলোচনার মুখ্য বিষয় ছিল চাবাহার বন্দরকে কাজে লাগানো। পাশাপাশি সে দেশের মানুষকে মানবিক সাহায্য দেওয়া নিয়েও কথা হয়েছে বলে জানান জয়সওয়াল। তাঁর কথায়, “আফগানিস্তানের বাণিজ্য সম্প্রদায় নিজেদের কাজে লাগাতে পারে চাবাহার বন্দরকে। আমদানি রফতানির কাজেও ব্যবহার করতে পারে। এ নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে।”
আফগানিস্তানে ক্ষমতার পালাবদলের দীর্ঘ সময় কেটে যাওয়ার পর এই কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। প্রসঙ্গত গত মার্চ মাসে যুগ্মসচিব জেপি সিংহ-সহ ভারতীয় কূটনীতিকদের একটি দল কাবুলে গিয়ে বৈঠক করেছিল তালিবান সরকারের কার্যনির্বাহী বিদেশমন্ত্রী ওয়াকিল আহমেদ মুত্তাওয়াকিলের সঙ্গে। তার কিছু দিন আগেই তালিবানশাসিত আফগানিস্তানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ভাবে কূটনৈতিক সম্পর্কের সূচনা করেছিল চিন। কূটনীতি বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, কাবুলকে বেজিংয়ের ‘কবলে’ পড়া থেকে আটকাতেই নয়াদিল্লির এই পদক্ষেপ।
গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে আড়াই বছর আগে ক্ষমতা দখল করলেও এখনও রাষ্ট্রপুঞ্জে স্বীকৃতি পায়নি আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। ভারত, আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশের সঙ্গেই তাদের স্বীকৃত কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। এই পরিস্থিতিতে বিদেশ মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকের সঙ্গে তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রীর বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।