ছবি: সংগৃহীত।
কাশ্মীর উপত্যকায় ফের এক বার বড়সড় জঙ্গিহানার পরিকল্পনা চালাচ্ছে পাক মদতে পুষ্ট সন্ত্রাসবাদীরা। সে কারণেই উপত্যকায় ১০ হাজার বাড়তি আধাসেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারি সূত্রের দাবি, রবিবার এ বিষয়ে নিশ্চিত খবর পেয়েছে দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবেই কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকা কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
সম্প্রতি উপত্যকায় পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হয়েছে। সরকারি সূত্র অনুযায়ী, আপাত শান্ত কাশ্মীরে বিঘ্ন ঘটাতে চায় পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-সহ পাক জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি। সে কারণে উপত্যকায় ফের জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করছে তারা। অমরনাথ যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য কাশ্মীরে আগে থেকে ৪০ হাজার আধাসেনা মোতায়েন ছিল। এর পর শনিবার আরও ১০ হাজার আধাসেনা সেখানে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। জঙ্গিদমন এবং উপত্যকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় মন্ত্রক।
গত তিন দিন ধরেই সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স (সিএপিএফ)-এর জওয়ানদের নিয়ে বিশেষ বিমান অবতরণ করেছে শ্রীনগর বিমানবন্দরে। এর পর জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক ধরে তাঁরা পৌঁছেছেন কাশ্মীর উপত্যকায়। এর পর থেকেই অবশ্য তা নিয়ে উপত্যকায় সংবিধানের ৩৫এ ধারা বাতিল করা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। তবে রবিবার সরকারি সূত্রের দাবি, জঙ্গিহানার মোকাবিলা করার জন্য এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ দিন কাশ্মীরের জঙ্গিদমনকারী শাখাগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। বাড়তি আধাসেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তে ওই শাখাগুলির মদত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কর্নাটকে নয়া মোড়, ১৪ বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ করলেন স্পিকার, স্বস্তিতে বিজেপি
আরও পড়ুন: অনলাইনে বিজেপির ‘সদস্য’ হলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান!
আরও পড়ুন: জলবন্দি যাত্রিবোঝাই ট্রেন, ১৭ ঘণ্টা আটকে থাকার পর উদ্ধার ১০৫০ জন
যদিও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। তাঁর মতে, রাজ্যের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘উপত্যকার মানুষের মনে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতেই অতিরিক্ত ১০ হাজার আধাসেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। কাশ্মীরে নিরাপত্তারক্ষীর ঘাটতি নেই। সামরিক বাহিনী দিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান করা যাবে না। ভারত সরকারের উচিত এ বিষয়ে নীতি পুনর্বিবেচনা করা।’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।