নাদিমকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ (বাঁ দিকে), পুলিশ চৌকির সামনে জ্বলছে বাইক (ডান দিকে)। টুইটার থেকে নেওয়া।
রাজধানী দিল্লির অভিজাত খান মার্কেট এলাকায় হুলস্থুল কাণ্ড। বাইকে আগুন, পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর। শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার অভিযুক্ত। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, খাবার সরবরাহের কাজ করেন ২৩ বছরের জনৈক নাদিম। সোমবার খান মার্কেট এলাকার একটি রেস্তরাঁ থেকে খাবার নিয়ে গ্রাহকের বাড়ি পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন তিনি। খাবার হাতে তিনি অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময় তাঁর সামনে দিয়ে এক মহিলা তাঁর স্বামীর সঙ্গে যাচ্ছিলেন। কিছু দূরের পুলিশ চৌকিতে ওই মহিলা অভিযোগ করেন, নাদিম তাঁর দিকে অশোভনীয় ভাবে তাকিয়েছিলেন। এ কথা শুনে চৌকিতে কর্তব্যরত পুলিশকর্মী গিয়ে এক চড় মারেন নাদিমকে। যদিও এ ব্যাপারে ওই মহিলা কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি।
পর দিন আবার সেখানে ফিরে আসেন নাদিম। মঙ্গলবার, পুলিশ চৌকির সামনে একটি আসবাবপত্রের দোকানের পাশে তিনি নিজের বাইকে আগুন লাগিয়ে দেন। দাউদাউ করে সেই আগুন আসবাবপত্রের দোকানেও ছড়িয়ে পড়ে। দমকলকর্মীরা দ্রুততার সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। সেই সময় পুলিশ নাদিমকে ধরতে গেলে তিনি পাল্টা পাথর ছোড়া শুরু করেন। চিৎকার করে প্রশ্ন করতে থাকেন, কেন তাঁকে অকারণে পুলিশ মারল? নাদিমের ছোড়া পাথর এড়িয়ে পুলিশ তাঁকে ধরে ফেলে।
এই ঘটনায় খান মার্কেট এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। পুলিশের ব্যারিকেড মাটিতে লুটোয়। বেশ কিছু ক্ষণ ধস্তাধস্তির পর পুলিশ নাদিমকে ধরে ফেলে। গোটা ঘটনার ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। কেন নাদিম নিজের বাইকে আগুন লাগালেন? এখনও তার স্পষ্ট কোনও জবাব না পাওয়া গেলেও, সেই সময় নাদিমকে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, কেন তাঁকে অকারণে মারধর করল পুলিশ?
পুলিশ জানিয়েছে, নাদিম মত্ত অবস্থায় ছিলেন। আদালত তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ব্যক্তিগত কোনও সমস্যার কারণে ইদানীং মদ ও মাদকে ডুবে থাকতেন নাদিম।