কুয়ারশার কারণে দৃশ্যমানতা নেমে গিয়েছে দিল্লিতে। মে মাসে শীত শীত আমেজ রাজধানীর বুকে। ছবি: পিটিআই।
মে বা বৈশাখে কখনও কুয়াশার কথা ভাবতে পারেন? কিংবা শীতকালের মতো তাপমাত্রা? কলকাতায় বসে এ ধরনের আবহাওয়া কল্পনাও করা যায় না। কিন্তু পরিবেশের এমনই খামখেয়ালিপনা দেখা গেল কলকাতা থেকে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার দূরের শহর দিল্লিতে।
গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে এমনিতেই রাজধানীর তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সেই তাপমাত্রা নেমে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। ভরা বৈশাখে প্রকৃতি শীতের আমেজ ফিরিয়ে দিয়েছে দিল্লিকে। মৌসম ভবন বলছে, ১৯৮২ সালের ২মে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার পর ২০২৩ সালে ৪ মে সেই তাপমাত্রা হয়েছে ১৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গত ৪১ বছরে সর্বনিম্ন।
গত মাসে যেখানে দিল্লির তাপমাত্রা ৪৫-৪৬ ডিগ্রিতে পৌঁছে গিয়েছিল, তার পরই সেই তাপমাত্রা এক ধাক্কায় ১৫ ডিগ্রিতে নেমে আসবে, তা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। কারণ এই সময়ে যেখানে তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি পেরিয়ে যায়, সেখানে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় এই পরিস্থিতিতে শীত শীত আমেজ ফিরে আসায় দিল্লিবাসীরা স্তম্ভিত, তবে আনন্দিতও বটে।
শুধু তাপমাত্রার পতনই নয়, বৃহস্পতিবার সকালে গোটা রাজধানী ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে গিয়েছিল। দৃশ্যমানতা অনেকটাই নেমে যায়। তার সঙ্গে সকালে হালকা বৃষ্টিও হয়েছে। ৩০ মিলিমিটারের মতো বৃষ্টি হয়েছে। এপ্রিলে ২০ মিলিমিটারের মতো বৃষ্টি হয়েছিল। যা ২০১৭ সালের পর থেকে সবচেয়ে বেশি। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে রবি, সোম এবং মঙ্গলবার টানা বৃষ্টি এবং মেঘলা আবহাওয়ার কারণে স্বাভাবিকের থেকে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি নীচে নেমে গিয়েছে। রবিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সোমবার ২৬.২ ডিগ্রি, মঙ্গলবার ছিল ২৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, আরও একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আসছে। ৫ মে থেকে উত্তর-পশ্চিম ভারতে এর প্রভাব পড়বে। এর প্রভাবে মেঘলা আকাশ এবং মাঝেমাঝে বৃষ্টিও হতে পারে আগামী ৭ মে পর্যন্ত। ৮ মে পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি নীচে থাকবে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন।