মেট্রো স্টেশনে ‘গোলি মারো’ স্লোগান। ছবি: টুইটারের ভিডিয়ো থেকে নেওয়া
অনুরাগ ঠাকুর, অভয় বর্মাদের স্লোগান এ বার রাজধানীর মেট্রো স্টেশনে। শনিবার বেলা ১০টা ৫২ মিনিট। রাজীব চক মেট্রো স্টেশন সচকিত হয়ে শুনল সেই শাসানির স্বর— ‘দেশকে গদ্দারোঁ কো, গোলি মারো শালোঁ কো..।’
রাজীব চক দিল্লির ব্যস্ততম মেট্রো স্টেশনগুলোর একটা। কলকাতার সেন্ট্রাল বা এসপ্ল্যানেড স্টেশনের সঙ্গে তুলনা করা যায় তার। সামনেই কনট প্লেস। একটু এগোলে যন্তর মন্তর। সেখানেই ট্রেন থামার আগে কামরার মধ্যে থেকে স্লোগান দেওয়া শুরু করেছিল ছ’জন যুবক। ট্রেন থামলে স্টেশনে নেমেও স্লোগান চালাতে থাকে তারা। ছ’জনকেই অবশ্য আটক করেছে পুলিশ।
গোটা ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, পরনে সাদা টি-শার্ট এবং মাথায় গেরুয়া ফেট্টি বাঁধা কয়েক জন রাজীব চক মেট্রো স্টেশনে সিএএ-র সমর্থনে ওই স্লোগান দিচ্ছে। হিংসাদীর্ণ দিল্লিতে ফের এই উস্কানিমূলক স্লোগান ওঠায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। তৎপর হয়ে ওঠেন মেট্রোকর্মী এবং নিরাপত্তারক্ষীরা। দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড জানিয়েছে, মেট্রোকর্মী এবং নিরাপত্তারক্ষীরা ছয় স্লোগানদাতাকে ধরে মেট্রো রেল পুলিশের হাতে তুলে দেন। মেট্রোর কর্তারা জানিয়েছেন, মেট্রো চত্বরে বিক্ষোভ নিষিদ্ধ।
দিল্লি বিধানসভা ভোটের প্রচারে শাহিন বাগের প্রতিবাদীদের উদ্দেশে প্রথম বার এই স্লোগান তুলেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তাই নিয়ে বিস্তর হইচই হয়। আপ-এর বিপুল জয়ের পরে বিজেপি নেতৃত্ব মানতে শুরু করেছিলেন, উস্কানি এবং বিদ্বেষমূলক কথাবার্তা বলা ঠিক হয়নি। কিন্তু ক’দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি ফের বদলে যায়।
দিল্লি সংঘর্ষের চলতি আবহে বিজেপির কপিল মিশ্র, প্রবেশ বর্মার মতো নেতারা অবাধে উস্কানিমূলক স্লোগান চালিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ। গত মঙ্গলবার বিজেপির বিধায়ক অভয় বর্মার মিছিলেও ‘দেশ কে হত্যারো কো, গোলি মারো শালোঁ কো’র ডাক দেওয়া হয়। আজ সেই উস্কানি দিনদুপুরে ব্যস্ত মেট্রো স্টেশনে ধ্বনিত হওয়ায় রাজধানীর উদ্বেগ আরও বাড়ল।