BBC

মোদীকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র ঘিরে অশান্তি, তদন্ত কমিটি গড়ল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়

শুক্রবার বিকেল ৪টের সময় তথ্যচিত্র প্রদর্শনের ঘোষণা করেছিল দলিত ছাত্র সংগঠন ভীম আর্মি স্টুডেন্টস ফেডারেশন। কিন্তু তার আগেই পুলিশের তরফে ১৪৪ ধারা জারি করা হয় ক্যাম্পাসের বাইরে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:৪৮
Share:

মোদীকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্রের প্রদর্শনের আগে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের আটক করছে পুলিশ। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

বিবিসি-র তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’-এর প্রদর্শন ঘিরে শুক্রবারের অশান্তির ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিটি গড়লেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, প্রক্টর রজনী আব্বির নেতৃত্বাধীন ওই কমিটি ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণ অনুসন্ধান করে আগামী ৩০ জানুয়ারি উপাচার্য যোগেশ সিংহের কাছে রিপোর্ট পেশ করবে।

Advertisement

২০০২ সালের গোধরা পরবর্তী গুজরাত দাঙ্গা এবং সে রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্রের শুক্রবার প্রদর্শনের আয়োজন হয়েছিল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে। আয়োজক ছিলেন পড়ুয়াদের একাংশ। কিন্তু তথ্যচিত্রের প্রদর্শন শুরু হওয়ার পরে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকে দিল্লি পুলিশ হামলা চালায় বলে অভিযোগ।

শুক্রবার বিকেল ৪টের সময় তথ্যচিত্র প্রদর্শনের ঘোষণা করেছিল দলিত ছাত্র সংগঠন ভীম আর্মি স্টুডেন্টস ফেডারেশন। কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই-এর কিছু পড়ুয়াও ওই আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু আর্টস ফ্যাকাল্টির ভিতর প্রদর্শন শুরুর আগেই পুলিশের তরফে ১৪৪ ধারা জারি করা হয় ক্যাম্পাসের বাইরে। গেটের বাইরে ছাত্রদের জমায়েত সরাতে পুলিশ বলপ্রয়োগ করে বলেও অভিযোগ। অভিযোগ, এর পর ক্যাম্পাসে ঢুকে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং অন্তত ২৪ জন পড়ুয়াকে আটক করে।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শনিবার জানিয়েছেন, বড় ধরনের অশান্তির আঁচ পেয়ে তাঁরাই ক্যাম্পাসে পুলিশ ডেকেছিলেন। এর আগে গত মঙ্গলবার দিল্লির জেএনইউ ক্যাম্পাসেও ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’-এর প্রদর্শন ঘিরে অশান্তি হয়েছিল। প্রসঙ্গত, দু’দশক আগে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জমানায় গোধরা-কাণ্ড এবং তার পরবর্তী সাম্প্রদায়িক হিংসার কথা তুলে ধরা হয়েছে এক ঘণ্টার ওই তথ্যচিত্রে। ‘দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিল কেন্দ্রীয় সরকার। একে ‘অপপ্রচার’ আখ্যা দিয়ে দাবি করা হয়েছিল, ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে তথ্যচিত্রটি তৈরি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement