ঝিলমিল শিল্পতালুক এলাকায় একটি সেতুর নীচ থেকে মিলল এক কিশোরোর দেহ। প্রতীকী ছবি।
পথদুর্ঘটনায় গুরুতর জখম কিশোরকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর বদলে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে গেলেন বন্ধুরা। পরে সেই কিশোরের দেহ উদ্ধার হলে মৃতের ৩ বন্ধুকে পাকড়াও করে দিল্লি পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে এক নাবালকও রয়েছে বলে মঙ্গলবার পুলিশ সূত্রে খবর।
তদন্তকারীদের দাবি, ৭ মার্চ রাতের বেলা বন্ধুদের সঙ্গে মিলে অটোয় চড়ে দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির নন্দনগরী এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন ১৭ বছরের এক কিশোর। পরের দিন ঝিলমিল শিল্পতালুক এলাকায় একটি সেতুর নীচে তাঁর দেহ মেলে। খবর পেয়ে তদন্তে নেমে মৃতের পরিচয় জানতে খোঁজখবর শুরু করে পুলিশ। নীতেশ নামে ওই কিশোর পথদুর্ঘটনার গুরুতর জখম হয়েছিলেন বলে দাবি। অভিযোগ, তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাননি তাঁর বন্ধুরা। বরং তাঁকে জখম অবস্থায় অটোর তুলে ওই সেতুর নীচে রেখে আসেন তাঁরা। সেখানেই মৃত্যু হয় নীতেশের।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় পবন এবং ব্রিজমোহন নামে ২২ বছরের দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ১৬ বছরের এক কিশোরও পুলিশের জালে ধরা পড়েছে। ধৃতেরা সুন্দরনগর এলাকার বাসিন্দা। তদন্তকারীদের দাবি, ঘটনার রাতে বাবার ভাড়া করা অটো চালাচ্ছিলেন পবন। তবে সেটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। আতঙ্কিত হয়ে নীতেশকে অটোয় তুলে সেতুর নীচে ফেলে দেন তাঁর বন্ধুরা।