রেকর্ড বৃষ্টিতে বানভাসি দিল্লি। ছবি: পিটিআই।
মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল মঙ্গলবার রাত থেকেই। বুধবার সকালে তা আরও মারাত্মক আকার নিল। টানা বৃষ্টির জেরে কার্যত ঘরবন্দি হয়েছে দিল্লি এবং লাগোয়া এলাকাগুলি। এই পরিস্থিতিতে আবহাওয়া দফতরের (আইএমডি) তরফে জারি হয়েছে ‘কমলা সতর্কতা’।
আইএমডি-র পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে বৃষ্টিপাত হয়েছে ১১২.১ মিলিমিটার। ভেঙেছে ১৯ বছরের পুরনো রেকর্ড। এর আগে ২০১০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল দিল্লিতে। আইএমডি জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টা এই আবহাওয়া বজায় থাকার সম্ভাবনা। সে ক্ষেত্রে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের।
প্রবল বৃষ্টির জেরে ইতিমধ্যেই শহরের নীচু এলাকাগুলিতে জল জমতে শুরু করেছে। ফলে বেশ কিছু রাস্তায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। অন্য রাস্তাগুলিতে তৈরি হয়েছে প্রবল যানজট।
দিল্লি পুলিশের তরফে বুধবার একটি ট্র্যাফিক সতর্কতা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, মিন্টো ব্রিজের কাছে একটি রোড রোড আন্ডারপাসের দু’দিকের ক্যারেজওয়ে জলমগ্ন হওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ। ট্র্যাফিক সতর্কবার্তায় লালা লজপত নগর মেট্রো স্টেশন ও সংলগ্ন রাস্তা, মুলচন্দ বাস স্ট্যান্ড এবং সংলগ্ন রিং-রোড, এমস উড়ালপুল লাগোয়া অরবিন্দ মার্গ, জঙ্গপুরা মেট্রো স্টেশনের নামও রয়েছে।
মুনিরকা, এমবি রোড আন্ডারপাস, কস্তুরবা আন্ডারপাস, ঝাণ্ডেওয়ালা, মা আনন্দময়ী মার্গ, সরাই পিপল, নরেলা-বাওয়ানা সড়ক, জাহাঙ্গিরপুরী, মদনপুর খদর এলাকাতেও জল জমার কারণে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হওয়ার খবর এসেছে। বেশ কিছু গাড়ি আটকে পড়েছে। বেশ কিছু বাড়িতেও ঢুকে পড়েছে জল। নেটাগরিকদের একাংশের প্রকাশ করা সেই সব ছবি ছড়িয়ে পড়েছে ইতিমধ্যেই।
দিল্লি লাগোয়া হরিয়ানার গুরুগ্রাম, মানেসর, ফরিদাবাদ, মহেন্দ্রগড়, ভিওয়ানির মতো এলাকাও বানভাসি হয়ে পড়েছে। প্রবল বৃষ্টিতে মাটি ধসে যাওয়ায় কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েকটি সড়ক।