বিজয় চক কার্যত দুর্গের চেহারা নিল। ছবি: পিটিআই।
সংসদ ভবনের সামনে বিজয় চক জুড়ে শুধুই খাকি উর্দির দিল্লি পুলিশ ও জংলা উর্দিতে কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনী।
বেলা সাড়ে ১২টায় কংগ্রেস-সহ ১৮টি বিরোধী দলের সাংসদরা সংসদ থেকে মিছিল করে এ পি জে আবদুল কালাম রোডে ইডি-র সদর দফতরে যাবেন বলে ঠিক করেছিলেন। পরিকল্পনা ছিল, ইডি-র ডিরেক্টরের হাতে স্মারকলিপি তুলে দিয়ে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণা ও শেয়ার দরে কারচুপির অভিযোগের তদন্তের আর্জি জানানো হবে। তার আগেই বিজয় চক কার্যত দুর্গের চেহারা নিল। বিরোধী সাংসদরা সংসদ চত্বর থেকে বেরিয়ে কয়েক পা হেঁটে বিজয় চকে পৌঁছতেই তাঁদের পথ আটকাল বাহিনী।
দিল্লি পুলিশ ও কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনী, দুই-ই অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন। তারা পথ আটকানোয় বিরোধীদের প্রশ্ন, নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ শিল্পপতির বিরুদ্ধে ইডি-র তদন্তের দাবি জানাতে যাওয়া হচ্ছিল বলেই কি শাহি পুলিশ বাহিনী তাতে বাধা দিল?
ইডি-র দফতরে যেতে না পেরে আজ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে ই-মেল করে বিরোধী দলনেতাদের সই করা চিঠি ইডি-র ডিরেক্টরদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদী-গৌতম আদানির ‘আঁতাঁত’ থেকে নজর সরাতেই বিজেপি রাহুল গান্ধীর বিদেশে মন্তব্যের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনার দাবি তুলেছে। কিন্তু ইডি নিজের দায়িত্ব এড়াতে পারে না। আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগের তদন্ত হওয়া দরকার। কংগ্রেসের সঙ্গে আপ, এসপি, বিআরএস, ডিএমকে-র মতো দলগুলিও আজ মিছিলে অংশ নিয়েছিল। কিন্তু তৃণমূল, এনসিপি গরহাজির থাকে।
খড়্গে পরে বলেন, ‘‘কারা আদানিকে এত টাকা দিল, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আদানির কী সম্পর্ক, উনি কোথায় বিদেশ সফরে আদানিকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন, তার তদন্ত হওয়া দরকার।’’ আদানি-কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছে। তবে ইডি-কে লেখা চিঠিতে বিরোধীরা যুক্তি দিয়েছেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের কমিটির সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সাম্প্রতিক অতীতে ইডি কী ভাবে রাজনৈতিক সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগের তদন্ত করেছে, সে সম্পর্কে আমরা অবহিত। গত তিন মাসে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন তথ্য উঠে এলেও ইডি প্রাথমিক তদন্তটুকুও করেনি। ইডি এ ভাবে নিজের দায়িত্ব এড়াতে পারে না।’