অধীর চৌধুরী। ফাইল চিত্র।
কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরীকে তাঁর ‘হ্যাকড’ হওয়া যন্ত্র জমা দিতে বলল দিল্লি পুলিশ। যন্ত্রটি তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য অধীরকে অনুরোধ করে দিল্লি পুলিশ লিখেছে, ‘যে যন্ত্রটি হ্যাক হয়েছে বলে আপনি অভিযোগ দায়ের করেছেন, সেটি তদন্তের জন্য আমাদের কাছে জমা দিন। এ বিষয়ে আপনার সহযোগিতা আশা করছি। বিষয়টি নিয়ে আইনি পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’শনিবার অধীরের একটি টুইট ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। ঘটনাচক্রে, ওই দিনই ছিল রাজীব গাঁধীর মৃত্যুদিবস। ইন্দিরা গাঁধী হত্যাকাণ্ডের পর দিল্লির শিখ বিরোধী দাঙ্গা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে রাজীব এক বার বলেছিলেন, ‘মহীরূহের পতন হলে মাটি কেঁপে ওঠে।’ তাঁর ওই মন্তব্য ঘিরে জাতীয় রাজনীতিতে প্রবল বিতর্ক হয়েছিল আশির দশকে। শনিবার নিহত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুদিবসে সেই বিতর্কিত মন্তব্যই উদ্ধৃত করে একটি টুইট পোস্ট করা হয় লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীরের টুইটার হ্যান্ডলে। এর পরেই শুরু হয় বিতর্ক। তার পর সেই টুইটটি আবার দ্রুত মুছেও ফেলা হয়। পরিবর্তে উদ্ধৃত করা হয়, দেশের উন্নয়নে মানবসম্পদের ভূমিকা নিয়ে রাজীবের একটি মন্তব্য।
অধীরের টুইট ঘিরে যখন বিতর্ক শুরু চলছে, সেই টুইট সম্পর্কে অধীর পাল্টা দাবি করেন, ‘আমার টুইটার অ্যাকাউন্টে যে টুইট করা হয়েছে, তার সঙ্গে আমার পর্যবেক্ষণের কোনও সম্পর্ক নেই।’ কেউ ‘শত্রুতার বশে’ করে এই টুইট করেছেন বলেও দাবি করেন অধীর।
আনন্দবাজার অনলাইন অধীরের সঙ্গে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। এর পর যোগাযোগ করা হয় তাঁর দফতরের সঙ্গে। তাদের তরফে টুইটার হ্যান্ডল হ্যাকিংয়ের অভিযোগ তোলা হয়। একই সঙ্গে অধীরের দফতর জানায়, এ বিষয়ে দিল্লির পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে রাজীব গাঁধীর জন্মদিনেও নিহত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ওই বিতর্কিত মন্তব্য উদ্ধৃত করে অধীরের নামে টুইট করা হয়েছিল। সে সময়ও অধীর জানিয়েছিলেন, তাঁর অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছে।