ইউরোপ-আমেরিকায় ভয় ধরাচ্ছে মাঙ্কি পক্স। প্রতীকী চিত্র।
কোভিড আতঙ্কের মাঝেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মাঙ্কি পক্স। ভারতে এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাস হানা না দিলেও ইউরোপ ও আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশে মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত রোগীর হদিস মিলেছে। গত ১৩ মে থেকে ১২টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে মাঙ্কি পক্স। এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৯২ জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র সতর্কবার্তা, আফ্রিকা থেকে ইউরোপ এবং আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়া মাঙ্কি পক্সে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে মাঙ্কি পক্স নিয়ে বলা হচ্ছে, এখনই এ নিয়ে বিশেষ সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। কারণ, অতিমারি ঘোষণা হয়নি এমন দেশেও ছড়িয়ে পড়ছে মাঙ্কি পক্স। গত ৭ মে লন্ডনে প্রথম এক ব্যক্তির শরীরে মাঙ্কি পক্সের ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল। আক্রান্ত ওই ব্যক্তি নাইজেরিয়ায় গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। সেখানেই কোনও ভাবে আক্রান্ত হন তিনি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঙ্কি পক্স এক বিশেষ ধরনের বসন্ত। জলবসন্ত বা গুটিবসন্ত তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি পরিচিত। তাই প্রতিকারও অপেক্ষাকৃত সহজ। কিন্তু এই মাঙ্কি পক্স ভাইরাসটি এতই বিরল যে এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্তদের সুস্থ করতে নির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসাপদ্ধতি চিকিৎসকদের জানা নেই। মূলত পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার কিছু দেশে এই ভাইরাসের হদিস মিলত। কিন্তু সেটাই এখন ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপ এবং আমেরিকা মহাদেশে। অস্ট্রেলিয়া, কানাডার ছাড়াও ইউরোপের অন্তত ৯টি দেশে মাঙ্কি পক্সে আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। এর মধ্যে ব্রিটেন, পর্তুগাল এবং স্পেনের মতো দেশ সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত। এ ছাড়াও বেলজিয়াম, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ড, ইটালি এবং সুইডেনে ছড়িয়ে পড়েছে এই বসন্ত। যদিও এই পক্সে আক্রান্ত কারও মৃত্যুর কোনও খবর মেলেনি।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের মধ্যে সহজে মাঙ্কি পক্স ছড়ায় না। করোনা ভাইরাসের মতো অতো দ্রুত সংক্রামকও নয়। কিন্তু তবু সমস্ত দেশকে সাবধান হতে বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।