—প্রতীকী চিত্র।
অনলাইন পোর্টাল নিউজ়ক্লিকের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে দিল্লি পুলিশ আজ সংস্থার প্রাক্তন সাংবাদিক অনুষা পালের কেরলের বাসভবনে তল্লাশি চালিয়েছে। তাঁর ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
আজ সকালে অনুষার কদুমনের বাসভবনে পৌঁছয় দিল্লি পুলিশের তিন আধিকারিক। সেখানে ওই সাংবাদিককে নিউজ়ক্লিক ও সিপিএমের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ককে নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়। পরে সংবাদ মাধ্যমে অনুষা অভিযোগ করেছেন, নরেন্দ্র মোদী সরকার ও আরএসএসের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার কারণেই একটি সংস্থা ও তার কর্মীদের বিরুদ্ধে এই ধরনের পদক্ষেপ করা হচ্ছে। দিল্লি পুলিশের আধিকারিকেরা তাঁর কাছে জানতে চেয়েছেন, তিনি সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভ, কৃষকদের আন্দোলন কিংবা করোনার সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যবস্থাপনা নিয়ে সংবাদ লিখেছেন কি না।
সিপিএমের দিল্লির রাজ্য সম্পাদক কে এম তিওয়ারিকে চেনেন কি না, সে ব্যাপারেও অনুষাকে প্রশ্ন করেছেন দিল্লি পুলিশের আধিকারিকেরা। পরে অনুষা জানিয়েছেন, তিওয়ারিকে যে চেনেন, সে কথা পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, কে এম তিওয়ারি দিল্লিতে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক এবং তিনি নিজে সিপিএমের একজন কর্মী। অনুষা আরও জানিয়েছেন, তিনি দলের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-এর দিল্লি রাজ্য কমিটির সদস্য ও দিল্লি শাখার কোষাধ্যক্ষ।
দিল্লি পুলিশের আধিকারিকেরা যখন অনুষার বক্তব্য জানতে তাঁর বাসভবনে যান, তখন কেরল পুলিশের কেউ তাঁদের সঙ্গে ছিলেন না। অনুষা দাবি করেছেন, কেরল পুলিশ পরে তাঁর বাসভবনে আসে এবং জানায় দিল্লি পুলিশের তল্লাশির কথা তাঁরা জানতেনই না।
নিউজ়ক্লিকের দফতর-সহ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশির পর ৩ অক্টোবর প্রধান সম্পাদক ও পরিচালক প্রবীর পুরকায়স্থ ও মানবসম্পদ দফতরের প্রধান অমিত চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আইন ইউএপিএ-তে মামলা হয়েছে। প্রবীর পুরকায়স্থ ও অমিত চক্রবর্তীকে গ্রেফতারের আগে নিউজ়ক্লিকের অনেক সাংবাদিক-কর্মীর বাসভবনেও তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা বয়েছে সংস্থার কর্মীদের। এবার কেরলে পৌঁছেও সংস্থার প্রাক্তন কর্মীর ঠিকানায় তল্লাশি চালাল দিল্লি পুলিশ।
এ দিকে, এফআইআরে নিউজ়ক্লিক পোর্টালের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশ যে অভিযোগ এনেছে, সংস্থার তরফে তা অস্বীকার করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশের অভিযোগ ছিল, ভারতের সার্বভৌমত্বে আঘাত করার চেষ্টায় বিপুল অঙ্কের অর্থ এসেছে চিন থেকে। শুক্রবার রাতে নিউজ়ক্লিকের তরফে বলা হয়েছে, চিন থেকে বা চিনা সংস্থার থেকে কোনও অর্থ বা নির্দেশ তারা পায়নি। হিংসা ছড়ানোর জন্য উৎসাহ দেয়নি তারা। কোনও রকম অবৈধ কাজেও যুক্ত নয় নিউজ়ক্লিক। তারা যে ধরনের খবর করেছে, তা দেখলেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায় বলে সংস্থার পক্ষে দাবি করা হয়েছে। নিউজ়ক্লিকের দাবি, দিল্লি পুলিশের এফআইআরে আনা অভিযোগগুলি ভিত্তিহীন।