দিল্লিতে জারি ‘হাই অ্যালার্ট’। — ফাইল চিত্র।
বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরমের ক্যাফেতে বিস্ফোরণকাণ্ডে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১০। শুক্রবার দুপুরের ঘটনার জেরে গোটা দেশে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এ বার দিল্লিতেও নিরাপত্তা জোরদার করল পুলিশ। রাজধানীতে এমন হামলার ঘটনা ঘটতে পারে, তেমন আশঙ্কা করছেন গোয়েন্দারা। তাই দিল্লির বিশেষ কয়েকটি জায়গাকে চিহ্নিত করে ‘হাই অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
দিল্লি পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্তা সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘জনবহুল এলাকা বিশেষ করে রাজধানীর বাজার এবং তার সংলগ্ন এলাকাতে পুলিশি নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।’’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘‘বাজার সমিতিগুলিকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি তারা কোনও সন্দেহজনক কিছু দেখতে পায়, তবে অবিলম্বে তা স্থানীয় থানায় জানাতেও বলা হয়েছে।’’
পাশাপাশি বাজার এলাকার সিসিটিভিগুলি সক্রিয় রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিশের তরফে। দিল্লি পুলিশের আর এক কর্তাকে উদ্ধৃত করে ‘এনডিটিভি’ জানিয়েছে, যদি কোথাও বোমা বা বিস্ফোরক মেলে, তবে তা দ্রুত নিষ্ক্রিয় করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই বম্ব স্কোয়াডকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুরে কেঁপে ওঠে কুন্দালাহাল্লি এলাকার রামেশ্বরম ক্যাফে। খোদ কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া নিশ্চিত করেছেন যে, বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য একটি আইইডি ব্যবহার করা হয়েছিল। উপমুখ্যমন্ত্রী শিবকুমার জানিয়েছেন, সিসিটিভিতে অভিযুক্তকে শনাক্ত করা গিয়েছে। অভিযুক্তের বয়স আনুমানিক ২৮ থেকে ৩০ বছর।
যদিও এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তকে ধরতে পারেনি পুলিশ। বিস্ফোরণের নেপথ্যে কী কারণ ছিল, সেটাই জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। এর মধ্যেই বিস্ফোরণের একটি সিসিটিভি ফুটেজ সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, দাম মেটানোর কাউন্টারে দাঁড়িয়ে রয়েছেন গ্রাহকেরা। আচমকা বিস্ফোরণ। তার পরেই কয়েক জন ছিটকে পড়েন। তার পরেই ছুটোছুটি শুরু হয়ে যায়। যদিও সেই ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল পুলিশ, বম্ব স্কোয়াড, ফরেন্সিক দল। তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ-ও।