রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণের মুহূর্তের ছবি। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।
কে বোমা রেখে গিয়েছিল বেঙ্গালুরুর ক্যাফেতে? ধরা পড়ল সিসিটিভি ক্যামেরায়। রামেশ্বরম ক্যাফের বিস্ফোরণের ঘটনার নেপথ্যে হাত ছিল বছর তিরিশের এক যুবকের। তাঁকে ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ভিডিয়ো দেখে চিহ্নিত করা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার।
শুক্রবার দুপুরে কেঁপে ওঠে কুন্দালাহাল্লি এলাকার রামেশ্বরম ক্যাফে। বোমা ফেটে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। খোদ কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া নিশ্চিত করেছেন যে, বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য একটি আইইডি ব্যবহার করা হয়েছিল। উপমুখ্যমন্ত্রী শিবকুমার জানিয়েছেন, সিসিটিভিতে অভিযুক্তকে শনাক্ত করা গিয়েছে। অভিযুক্তের বয়স আনুমানিক ২৮ থেকে ৩০ বছর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে যে, শুক্রবার দুপুরে একটি ব্যাগ হাতে রামেশ্বরম ক্যাফেতে প্রবেশ করেন ওই যুবক। ক্যাফেতে ঢুকে টাকা দিয়ে তিনি রাভা ইডলির কুপন কাটেন। কিন্তু না খেয়েই চলে যান। যাওয়ার সময় রেখে যান হাতের ব্যাগ। সূত্রের খবর, সেই ব্যাগ থেকেই বিস্ফোরণ হয় বলে সিসিটিভি ফুটেজ ঘেঁটে জানতে পেরেছে পুলিশ। ওই যুবক ক্যাফের ভিতরে ব্যাগ রেখে ক্যাশ কাউন্টারে গিয়েছিলেন। ক্যাশিয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। উল্লেখযোগ্য, রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণের মুহূর্তের ভিডিয়োও ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
পুলিশ মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছে যে, ব্যাগে থাকা একটি আইইডি ছাড়া ক্যাফে চত্বরে আর কোনও আইইডি পাওয়া যায়নি। রামেশ্বরমের বিস্ফোরণ কি সন্ত্রাসবাদীদের হামলা, জানতে চাইলে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বড় কোনও বিস্ফোরণ ঘটেনি। একটি আইইডি বিস্ফোরণ হয়। এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে। তবে এটা হওয়া উচিত নয়। সাম্প্রতিককালে বিজেপি ক্ষমতায় থাকার সময় ম্যাঙ্গালুরুতে এমন ঘটনা ঘটেছিল। কংগ্রেস সরকারের আমলে এমন ঘটনা এই প্রথম।’’ বিস্ফোরণের কারণে কেউ গুরুতর আহত হননি বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনার তদন্তে নেমেছে বেঙ্গালুরুর পুলিশ। এইচএএল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।