শনিবার ডাকাতির ঘটনার সেই দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।
দু’লক্ষ টাকার ডাকাতির মামলা। সেই ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়ে পাঁচ দুষ্কৃতীকে খুঁজতে গিয়ে ১৬০০ জনকে নিজেদের হেফজাতে নিল দিল্লি পুলিশ। শুধু তাই-ই নয়, রাতে নাকাতল্লাশি চালানোর সময় ২ হাজার গাড়িও বাজেয়াপ্ত করে তারা। আসল দুষ্কৃতীদের ধরতে গিয়ে দেড় হাজারেরও বেশি লোককে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ায় অনেকেই কটাক্ষ করে বলছেন, ‘ঠগ বাছতে গিয়ে গাঁ উজাড়’ করল দিল্লি পুলিশ।
শনিবার দিল্লি থেকে গুরুগ্রামে যাচ্ছিলেন চাঁদনি চকের এক সংস্থার দুই কর্মী পটেল সজন কুমার এবং জিগর পটেল। সরাই কালে খান এবং নয়ডার সঙ্গে দিল্লির সংযোগকারী দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ আন্ডারপাস দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁদের গাড়ির পথ আটকান দুষ্কৃতীরা। তাঁরা বাইকে এসেছিলেন। দু’জন বাইক থেকে নামেন। এক জন চালকের মাথায় বন্দুক ঠেকান। অন্য জন, গাড়ির পিছনের আসনে বসা সজন কুমারের কাছ থেকে ব্যাগভর্তি দু’লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালান।
রাজধানীর বুকে ব্যস্ত ওই আন্ডারপাসে প্রকাশ্য দিবালোকে এমন ডাকাতির ঘটনার খবর চাউর হতেই দিল্লির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। একইসঙ্গে দিল্লি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা শুরু হয়। এই ডাকাতির ঘটনা নিয়ে রাজধানীতে হুলস্থুল পড়তেই দুষ্কৃতীদের ধরতে ময়দানে নামে পুলিশ। পাঁচ দুষ্কৃতীকে ধরতে দিল্লির বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৬০০ জনকে আটক করে তারা। এ ছাড়াও রাস্তায় তল্লাশি চালানোর দু’হাজার গাড়িকেও বাজেয়াপ্ত করা হয়। যদিও পরে ওই পাঁচ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পাঁচ দুষ্কৃতীকে ধরতে গিয়ে এত লোককে আটক করা এবং গাড়ি বাজেয়াপ্ত করার ঘটনা পুলিশের বিরুদ্ধে রাজ্যবাসীর ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে দেয়। দুষ্কৃতী ধরতে সাধারণ মানুষকে হয়রান করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। দিল্লি পুলিশের এই ভূমিকার সমালোচান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালও। দিল্লি পুলিশ যে হেতু লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনার অধীনে, তাই তাঁর পদত্যাগের দাবিও তোলেন কেজরীওয়াল। তিনি বলেন, “লেফটেন্যান্ট গভর্নরের পদত্যাগ করা উচিত। যদি কেন্দ্র সরকার দিল্লিকে সুরক্ষিত রাখতে না পারে, তা হলে নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের হাতে তুলে দিক। আমরা দেখিয়ে দেব, কী ভাবে নাগরিকদের নিরাপদে রাখতে হয়।”