কাস্তে হামলার পর পুণের তরুণী। ছবি: সংগৃহীত।
পাঁচ মিনিট কথা বলতে চেয়েছিলেন যুবক। যা শুনে ঘুরে তাকিয়েছিলেন তরুণী। কিন্তু আলাদা করে কথা বলার প্রস্তাবে রাজি হননি। তাঁর মুখে ‘না’ শুনে যুবক খেপে যান। কাস্তে দিয়ে তরুণীর মাথায় সটান কোপ মেরে বসেন।
কাস্তের বাড়ি খেয়ে তরুণী বুঝেছিলেন, যুবক তাঁকে খুন করে ফেলতে পারেন। প্রাণ বাঁচানোর জন্য সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি। এক হাতে মাথার রক্ত চেপে ধরে প্রাণপণে দৌড়ন। কাস্তে হাতে তাঁর পিছনে ধাওয়া করেন অভিযুক্তও। শেষে অন্য এক যুবকের মধ্যস্থতায় তরুণী প্রাণে বেঁচে যান। যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি পুণের সদাশিব পেট এলাকার। আক্রান্ত তরুণী এবং অভিযুক্ত যুবক, দু’জনেই মহারাষ্ট্রের পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্বও ছিল। কিন্তু অভিযোগ, যুবক সম্প্রতি তরুণীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিলে যুবক খেপে যান। তার পর থেকেই নাকি বার বার তরুণীকে হুমকি দিতেন তিনি। রাস্তায় ঘাটে তাঁর পথ আটকে হেনস্থা করতেন।
তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, যুবকের আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি তাঁর বাড়িতে গিয়ে যুবকের নামে নালিশ করে আসেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও পরিবারের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। উল্টে, বাড়িতে নালিশ করার কারণেই মঙ্গলবার ধারালো অস্ত্র দিয়ে যুবক তাঁকে খুনের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ।
কাস্তের ঘায়ে তরুণীর মাথা এবং হাতে চোট লেগেছে। বেশ কয়েকটি সেলাইও করতে হয়েছে। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন, অন্য এক যুবক এসে অভিযুক্তকে না আটকালে হয়তো কাস্তের ঘায়েই তাঁর মৃত্যু হত। তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।