চাকরি থেকে সাসপেন্ড হয়েছিলেন, তার পরেই ঘর থেকে উদ্ধার হল মৃতদেহ। — প্রতীকী ছবি।
দিল্লি পুলিশের হেড কনস্টেবলের রহস্যমৃত্যু। বুধবার ভোরে দ্বারকায় নিজের বাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ। প্রসঙ্গত, মৃত কনস্টেবলকে কিছু দিন আগেই সাসপেন্ড করা হয়েছিল।
দিল্লি পুলিশের হেড কনস্টেবল ৩৪ বছরের অমিত কুমার দ্বারকার মোহন গার্ডেন এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। কর্মরত ছিলেন দিল্লি আর্মড পুলিশের তৃতীয় ব্যাটালিয়নে। বুধবার ভোরে সেই ফ্ল্যাট থেকেই অমিতের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না। তিনি কি আত্মঘাতী হয়েছেন? প্রাথমিক ভাবে পুলিশ তেমনটাই মনে করছে। যদিও নিশ্চিত ভাবে এখনও কিছু জানায়নি পুলিশ।
দ্বারকায় পুলিশের ডেপুটি কমিশনার এম হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন, সকাল ৬টা নাগাদ তাঁরা অমিতের ব্যাপারে খবর পান। থানা থেকে একটি দল গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। তিনি বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তের পর জানতে পেরেছি, ওই ব্যক্তিকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন কিন্তু আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি। সেই রিপোর্টেই সব পরিষ্কার হবে।’’
এর পরেই ডিসিপির সংযোজন, ‘‘অমিতের স্ত্রী এবং দুই সন্তান রয়েছে। তবে তাঁরা দিল্লিতে থাকতেন না। অমিতের গাঁয়ের বাড়িতেই থাকতেন। বাড়ি থেকে কোনও সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়নি।’’ গত বছর একটি ফৌজদারি মোকদ্দমায় জড়িয়ে পড়ায় অমিতকে চাকরি থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন ডিসিপি। তাহলে কি চাকরিসূত্রেই উদ্বেগে ছিলেন অমিত? প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।