— প্রতীকী ছবি।
কোভিডের টিকাগ্রহীতাদের যাবতীয় তথ্য নথিবদ্ধ রয়েছে সরকারি কোউইন পোর্টালে। সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছিল, সেই পোর্টালের সব তথ্য ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। তারই তদন্তে নেমে এ বার বিহার থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। ধৃত যুবক সমাজমাধ্যমে নিজের টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টিকাগ্রহীতাদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করছিলেন বলে অভিযোগ। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের ‘ইন্টেলিজেন্স ফিউশন অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক অপারেশনস’ (আইএফএসও) ইউনিট ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ওই যুবকের কিশোর ভাইকেও আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের মা বিহারের এক জন স্বাস্থ্যকর্মী। মায়ের কাছ থেকেই কোউইন পোর্টাল এবং তার মধ্যে থাকা তথ্যের বিষয়ে বিশদে জানতে পারেন তিনি। এর পরই তিনি কিশোর ভাইয়ের সাহায্যে তথ্য ফাঁস করা শুরু করেন বলে অভিযোগ।
দিল্লি পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘দিল্লি পুলিশের আইএফএসও ইউনিট কোউইন তথ্য ফাঁস মামলায় বিহার থেকে এক জনকে গ্রেফতার করেছে। তাঁর মা বিহারের একজন স্বাস্থ্যকর্মী। অভিযুক্ত সমাজমাধ্যম ‘টেলিগ্রাম’-এ টিকাগ্রহীতাদের তথ্য ফাঁস করছিলেন বলে অভিযোগ। পুরো বিষয়টি বিশদে খতিয়ে দেখতে বিস্তারিত তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছিল, টিকাগ্রহীতাদের যাবতীয় তথ্য কো-উইন পোর্টাল থেকে ফাঁস হয়ে গিয়েছে। মূলত তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা নিউজ পোর্টাল ‘সাউথ এশিয়া ইনডেক্স’ তাদের টুইটারে হ্যান্ডলে একটি টুইট করে জানায়, ‘টেলিগ্রাম’ নামের একটি সমাজমাধ্যমে কোভিডের টিকা গ্রহীতাদের যাবতীয় তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে। টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি রাজনীতিক, আমলা এবং অন্যান্য পেশার মানুষও আছেন বলে দাবি করা হয়। অভিযোগ ওঠে, ‘টেলিগ্রামে’র একটি স্বয়ংক্রিয় চ্যাটবটে ভারতের সমস্ত টিকা গ্রাহকের আধার কার্ডের নম্বর, পাসপোর্টের নম্বর, এমনকি মোবাইল নম্বরও ফাঁস হয়ে গিয়েছে। এই অভিযোগ ঘিরে সারা দেশেই হইচই পড়ে যায়। এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরেই বিজেপির সমালোচনায় সরব হয় কংগ্রেস, তৃণমূলের মতো বিরোধী দলগুলি।
যদিও, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছিল, “কোউইন পোর্টাল নিরাপদ।” কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি তদন্ত করে দেখে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।