Rape

গুড়িয়া ধর্ষণ কাণ্ডে ছ’বছর পর দোষী সাব্যস্ত দুই অপরাধী

আদালতের রায় তাঁরা সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতা ওই শিশুর বাবা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২০ ২০:০৭
Share:

—ফাইল চিত্র।

‘গুড়িয়া’ গণধর্ষণ কাণ্ডে ছ’বছর পর দু’জনকে দোষী সাব্যস্ত করল দিল্লির একটি আদালত। পাঁচ বছরের শিশুকন্যাকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ ছিল তাদের বিরুদ্ধে। আগামী ৩০ জানুয়ারি ওই দু’জনকে সাজা শোনাবে আদালত।

Advertisement

শনিবার দিল্লির একটি পকসো আদালতে এই মামলার শুনানি চলছিল। সেখানে মনোজ শাহ এবং প্রদীপ কুমার নামের দুই যুবককে দোষী সাব্যস্ত করেন অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক নরেশ কুমার।

বিচারক নরেশ কুমার বলেন, ‘‘এই ঘটনা সমাজের বিবেকবোধে নাড়া দিয়েছে। আমাদের সমাজে যে শিশুকন্যাকে দেবী হিসেবে পুজো করা হয়, তার উপরেই নৃশংস অত্যাচার চালানো হয়েছে। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে ভয়াবহ নৃশংসতার শিকার হতে হয়েছে শিশুটিকে।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: স্কুলের মধ্যে ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা পুলিশ অফিসারের, অভিযোগ ঘিরে রণক্ষেত্র হাড়োয়া​

আদালতের রায় তাঁরা সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতা ওই শিশুর বাবা। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘‘দু’বছর আগেই শুনানি শেষ হয়ে যেতে পারত। তবে ছ’বছর পরেই সই। শেষমেশ সুবিচার পেলাম।’’

নির্ভয়াকাণ্ডের ক্ষত তখনও দগদগে। তার চার মাসের মাথায় ‘গুড়িয়া’ কাণ্ড সামনে আসে। ২০১৩-র ১৫ এপ্রিল পূর্ব দিল্লির গাঁধীনগরে দুই অপরাধী মিলে পাঁচ বছরের একটি মেয়েকে অপহরণ করে বাড়ির বেসমেন্টে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর তার যৌনাঙ্গে মোমবাতি এবং বোতলও ঢুকিয়ে দেয় তারা।

আরও পড়ুন: গাড়িতে ট্রাকের ধাক্কা, গুরুতর আহত হলেন শাবানা আজমি​

মেয়েটি মারা গিয়েছে ভেবে তার অসাড় দেহ ফেলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। দীর্ঘ ৪০ ঘণ্টা পর মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে বিহারের মুজফ্ফরপুর এবং দারভাঙা থেকে মনোজ এবং প্রদীপকে গ্রেফতার করা হয়। সেই থেকে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে মোট ৫৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ চলছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement