নিক্কিকে খুনের আগে ঝাঁ-চকচকে পার্টির মাধ্যমে বাগ্দান পর্ব সেরেছিলেন সাহিল। ছবি: সংগৃহীত।
পরনে মানানসই পাগড়ির সঙ্গে সাদা শেরওয়ানি। গলায় গোলাপ-রজনীগন্ধার মালা। ঠোঁটের কোণে হালকা হাসি। মুখে-চোখে অনুশোচনার লেশমাত্র নেই। কে বলবে কয়েক ঘণ্টা আগেই তিনি ঠান্ডা মাথায় খুন করেছেন প্রেমিকা নিক্কি যাদবকে! প্রকাশ্যে এল প্রেমিকাকে খুনের অভিযোগে দিল্লির অভিযুক্ত ধাবা মালিক প্রেমিক সাহিল গহলৌতের বিয়ের ছবি।
দিল্লির উত্তমনগরে প্রেমিকা নিক্কিকে খুনের কয়েক ঘণ্টা পর অন্যকে বিয়ে করার অভিযোগ প্রেমিক সাহিলের বিরুদ্ধে। প্রকাশ্যে এল সেই বিয়ের ছবি। গত ১০ ফেব্রুয়ারি সেই ছবি তোলা হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ছবিতে সাদা ঝলমলে শেরওয়ানির সঙ্গে পাগড়ি পরে দেখা গিয়েছে সাহিলকে। গলায় মালা। এই ছবিতে তাঁর গলার মালা ছুঁয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে নববিবাহিত বধূকেও।
পুলিশ জানিয়েছে, ৯ এবং ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যবর্তী রাতে গাড়ির ভিতরে মোবাইল ফোনের ডেটা কেবলের তার নিক্কির গলায় পেঁচিয়ে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন সাহিল। ধাবার ফ্রিজে ভরে দেওয়া হয় সেই দেহ। এর পর হাত-মুখ ধুয়ে ধোপদুরস্ত বিয়ের পোশাকে অন্য মহিলাকে বিয়ে করতে বেরিয়ে যান তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, নিক্কিকে খুনের আগে ঝাঁ-চকচকে পার্টির মাধ্যমে বাগ্দান পর্ব সেরেছিলেন সাহিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় সাহিল জানিয়েছেন, বাড়ি থেকে পছন্দ করা মেয়েটিকে বিয়ে করার জন্য তাঁকে ক্রমাগত জোর করা হচ্ছিল। তিনি বুঝতে পারছিলেন না যে, ওই মুহূর্তে তিনি ঠিক কী করবেন। একত্রবাসের সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাবেন না কি পরিবারের সদস্যদের কথা মেনে অন্য মেয়েকে বিয়ে করবেন। পুলিশকে এমনটাই জানিয়েছেন সাহিল। কাশ্মীরি গেট আইএসবিটি-র কাছে পৌঁছনোর পর গাড়ির মধ্যে নিক্কির সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয় সাহিলের। বিয়ে নিয়ে আগে থেকেই মাথাগরম ছিল তাঁর। তার উপর নিক্কি ঝগড়া শুরু করে দেওয়ায় আর শান্ত থাকতে পারেননি সাহিল। তখনই রাগের মাথায় নিক্কিকে তিনি খুন করেন বলে জানিয়েছেন।
দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির বাসিন্দা সাহিলকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই চলছে তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ। উঠে আসছে নতুন নতুন তথ্য।