ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটদান ত্রিপুরার সাধারণ মানুষের। ছবি: পিটিআই ।
সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টে নাগাদ শেষ হল ত্রিপুরা বিধানসভার ভোটপর্ব। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য প্রয়োজনীয় সব রকমের পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তার মধ্যেই বিরোধী বাম-কংগ্রেস জোট এবং তৃণমূলের তরফে শাসক বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটারদের ভয় দেখানোর এবং হিংসার অভিযোগ আনা হয়েছে।
৪০ থেকে ৪৫ বুথে ইভিএম মেশিনে ত্রুটি দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার। তিনি জানিয়েছেন, ইভিএম মেশিনে গন্ডগোলের খবর পাওয়ার পর সেগুলিকে পাল্টে দেওয়া হয়েছে। যেখানে প্রয়োজন সেখানে অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়েছে।
কাকরাবন আসনের ভোটকেন্দ্রে হাতাহাতি। কাকরাবন বিধানসভার একটি বুথে মারপিটের খবর এসেছে বলে সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন ত্রিপুরার এক সরকারি আধিকারিক। এই বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে এবং একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙার কারণে ত্রিপুরার বিজেপি এবং কংগ্রেসকে নোটিস পাঠাল মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও কংগ্রেস এবং বিজেপির তরফে দলের পক্ষে ভোট দেওয়ার আবেদন করে টুইট করার অভিযোগ এনেছে নির্বাচন কমিশন।
ত্রিপুরার বক্সনগরে সিপিএমের আঞ্চলিক সম্পাদকের উপর হামলার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাম নেতার উপর চড়াও হয় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে ৯০ শতাংশেরও বেশি মানুষের ভোট পড়বে বলে জানালেন তিপ্রা মথা প্রধান প্রদ্যোত। তিনি বলেন, ‘‘আমি মনে করি ৯০ শতাংশেরও বেশি মানুষ ভোট দেবেন এবং ত্রিপুরার মানুষ আমাদের সুযোগ করে দেবে।’’
ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে ডম্বুর লেকে নৌকায় চেপে ভোট দিতে এলেন রাইমা বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটাররা।
চলছে ত্রিপুরা বিধানসভা দখলের ভোটদান পর্ব। সকাল ১টা পর্যন্ত সে রাজ্যে ভোটদানের হার ৫১.৩৫ শতাংশ।
তিপ্রা মথা প্রধান প্রদ্যোত মাণিক্য দেববর্মন বিজেপির বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগ এনেছেন। তাঁর দাবি, ত্রিপুরার কিছু অংশে বিরোধীদের ব্যাপক মারধর করেছে বিজেপি কর্মীরা।
ত্রিপুরায় চলছে ভোটদান পর্ব। সকাল ১১টা পর্যন্ত সেই রাজ্যে ভোটদানের হার ৩২.০৬ শতাংশ।
চলছে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের ভোটদান পর্ব। অরলিয়ায় গিয়ে ভোট দিলেন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটাররা। নির্বাচনে তৃতীয় লিঙ্গের মোট ভোটারের সংখ্যা ৬২।
আগরতলায় ভোট দিলেন ত্রিপুরা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা এবং ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিম ত্রিপুরায় সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৪.৫৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। ধলাইতে পড়েছে ১৩.৬২ শতাংশ, গোমতীতে ১২.৯৯ শতাংশ, খোয়াইয়ে ১৩.০৮ শতাংশ। উত্তর ত্রিপুরায় এবং দক্ষিণ ত্রিপুরায় ভোট পড়েছে যথাক্রমে ১২.৭৯ শতাংশ এবং ১৪.৩৪ শতাংশ।
শান্তিরবাজার এবং পুরনো আগরতলার নাথপাড়া এলাকায় অশান্তি। বিরোধীদের মারধর এবং ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। পথ অবরোধ করে প্রতিবাদে শামিল ভোটাররা।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে ভোটদানের হার ১৩.২৩ শতাংশ।
ত্রিপুরায় ভোটগ্রহণ শুরুর পরই জায়গায় জায়গায় অশান্তির খবর। ধনপুর কেন্দ্রে ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়ার কারণে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিরোধীদের দাবি, বিজেপি কর্মীরা মানুষকে ভোট দিতে বাধা দিচ্ছেন। অন্য দিকে শাসক বিজেপি দলের পাল্টা দাবি, সিপিএম-কংগ্রেস জোটের বাহিনী অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
আগরতলায় ভোট দিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। ভোট দেওয়ার পর তিনি বলেন, ‘‘ভাল লাগছে। আমি সকল ভোটারকে ভোট দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’’ পাশাপাশি তিনি এ-ও বলেন, ‘‘আমি সকালে শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য প্রার্থনা করে ঘর থেকে বেরিয়েছি। দেখবেন মানুষ ভোট দিতে এসেছে। আমি নিশ্চিত যে এখানে বিজেপি আবার সরকার গঠন করবে।’’
নির্বাচন কমিশনের মতে, এ বারের নির্বাচনে ২৮.১৪ লক্ষ যোগ্য ভোটার রয়েছে। যার মধ্যে ১৪,১৫,২৩৩ জন পুরুষ এবং ১৩,৯৯,২৮৯ জন মহিলা ভোটার। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৬২ জন।
ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক গত্তি কিরণকুমার দিনাকররাও সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ভোট শুরুর পর থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা বা ইভিএমে প্রযুক্তিগত ত্রুটির খবর উঠে আসেনি। তিনি আরও জানিয়েছেন, ভোটের প্রক্রিয়া চলাকালীন বহিরাগতদের প্রবেশ রুখতে সীমান্ত এলাকাগুলি ঘিরে ফেলা হয়েছে।
নির্বাচনে শাসক বিজেপি ৫৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। বিজেপির জোটসঙ্গী ইন্ডিজিনিয়াস পিপলস্ ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (আইপিএফটি) প্রার্থী দিয়েছে ছ’টি আসনে। বাম-কংগ্রেসের জোট পার্থী দিয়েছে ৪৭টি এবং ১৩টি আসনে। ত্রিপুরায় ভাগ্য পরীক্ষা করতে নামা তৃণমূল ২৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। লড়াইয়ের ‘নতুন ঘোড়া’ জনজাতি দল তিপ্রা মথাও প্রার্থী দিয়েছে ৪২টি আসনে।